শামসল খান : কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর ওপর হাটশ হরিপুরবাসীর স্বপ্ননের সেতু। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে গড়াই নদীর ওপর ৫০৪.৫৫ মি.এ সেতু ৭১ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩২ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধন করলেন এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব-উল আলম হানিফ, এলজিআরডি প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী কুষ্টিয়া সহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
হাটশ হরিপুরবাসী প্রায় ২০ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে এলেও বিএনপির সময় জনগণের দাবির মুখে আলহাজ্ব অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন গড়াই নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।তিনি বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি।পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মাহাবুব-উল আলম হানিফ হাটশ হরিপুরবাসীর দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের ওয়াদা করেন। তিনি বলেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। হরিপুরবাসী এ ব্রিজের ওপর পায়ে হেঁটে কুষ্টিয়া শহরে প্রবেশ করবেন। ওয়াদা বাস্তবে রূপদান করে লক্ষাধিক হরিপুরবাসীর স্বপ্নপুরন করলেন।
এলজিআরডি কুষ্টিয়া জানিয়েছে, এলজিইডি উপজেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জনগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এ সেতু ৫০৪ মিটার (সুড়ঙ্গ পথসহ) দীর্ঘ, প্রস্থে ৬ দশমিক ১ মিটার। সেতুর উভয় পাশে ৩ ফুট করে ৬ ফুট ফুটপাত করা হয়েছে। কুষ্টিয়া অংশে ২০০ মিটার ও হরিপুর অংশে ১৯৬ মিটার সংযোগ সড়ক হয়েছে। ৪২.০৫ মিটার করে ১২টি স্প্যানের প্রতি স্প্যানে ৪টি গার্ডার দিয়ে। নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য নদী শাসনে ব্যয় করা হয়েছে ৯ কোটি ৯২ লাখ ৪৯ হাজার ২৩৩ টাকা এবং রোড নির্মাণ করা হয়েছে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭ টাকা।। সব মিলিয়ে সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা। কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহরাব আলীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মেসার্স মীর আক্তার হোসেন লি. ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর কাজ শুরু করে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬-তে শেষ করেন।সেতু পারাপারে কোনও টোল নেওয়া হবে না
Like this:
Like Loading...
Related