শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লার মামলায় ওকালত নামায় স্বাক্ষর করেছেন খালেদা জিয়া

  |   বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ ২০১৮ | প্রিন্ট

কুমিল্লার মামলায় ওকালত নামায় স্বাক্ষর করেছেন খালেদা জিয়া

কুমিল্লার বাস পোড়ানো মামলায় জামিনের জন্য ওকালত নামায় স্বাক্ষর করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী সপ্তাহে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কুমিল্লা যাবেন তার আইনজীবীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ম্যাডামের স্বাক্ষরিত ওকালত নামা হাতে পাই। ওকালত নামা স্বাক্ষর করার জন্য দুপুরে কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়ে আসি। পরে পৌনে ছয়টার দিকে আবারো কারাগারে যাই। সেখানে সোয়া এক ঘণ্টা পর ওকালত নামা নিয়ে ফিরে আসি। তবে ম্যাডামের সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ হয়নি। আগামী সপ্তাহে আমরা মামলার বিষয়ে জানতে কুমিল্লায় যাবো। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সিমকি আহমেদ ও আবদুল খালেক মিলন।

গত ১১ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর পরই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ওই জামিনের আদেশ স্থগিত করার জন্য আবেদন করেন চেম্বার জজ আদালতে। ১২ মার্চ সেই জামিনের আদেশ স্থগিত না করে নিয়মিত বেঞ্চ এ শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। এর পরে ১৪ মার্চ সে জামিনের আবেদন স্থগিত করে দেন আপিল আদালত।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এর পরই গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। সেইসঙ্গে স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড।

ওই মামলায় মোট আসামি ছয়জন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ওই মামলার আসামি। মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২১:২৩ | বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com