| শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার পরিকল্পনাকারীদের শাস্তির দাবি করেছেন মেয়ে ড. নাজনীন কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘যারা আমার বাবাকে হত্যা করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচার চাই।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে কিবরিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ড. নাজনীন বলেন, চার্জশিটে যাদের নাম আছে, তাদের সবাইকে ধরা হোক, জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। যারা হত্যার পরিকল্পনা করেছে তাদের সবাইকে ধরা হোক। শাস্তি হোক, এটাই চাই।
১২তম মৃত্যুবার্ষিকী সকাল সাড়ে নয়টায় বনানী কবরস্থানে আসেন কিবরিয়ার পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা কিবরিয়ার কবরে ফুল দিয়ে প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এরপর তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দোয়া করেন পরিবারের সদস্যরা। এসময় তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এ ঘটনার পরের দিন ২৮ জানুয়ারি তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান এমপি বাদি হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন।
প্রথমে সিআইডির এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২০ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে তিনি জেলা বিএনপির সে সময়ের সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ুম, বিএনপির কর্মী ও ব্যাংক কর্মকর্তা আয়াত আলী, কাজল মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, জিয়া স্মৃতি গবেষণা পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী, বিএনপি নেতা জমির আলী, জয়নাল আবেদীন মোমিন বিএনপি কর্মী তাজুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন জালাল ও ছাত্রদল কর্মী মহিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়।
চারদলীয় জোট সরকার সেই মামলা ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করে বলে পরের তদন্তে উঠে আসে। এরপর একাধিকবার তদন্ত, পুনঃতদন্তের ‘ধকল’ নিতে পারছে না মামলাটি। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়েও মামলাটি শেষ করা যাচ্ছে না নানা জটিলতায়। মোট তিনবার তদন্ত হয়েছে মামলাটির। এরপর হবিগঞ্জ থেকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হয় সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। কিন্তু সেখানেও দীর্ঘসূত্রতায় পড়েছে শুনানি।
আদালত সংশ্লিষ্টরা বলে, আসামি হাজির করতে না পারা, সাক্ষী আনতে না পারাসহ নানা কারণে শুনানি আগাচ্ছে না। এই মামলায় সাক্ষী করা হয় মোট ১৭১ জনকে। কিন্তু হবিগঞ্জ থেকে তাদেরকে সিলেটে আনা প্রায়ই সম্ভব হয় না। আবার কিন্তু প্রায় সময়ই আসামি হাজির করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে অন্য মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবর ও মুফতি হান্নানের ফাঁসির রায় হয়ে গেছে। নিরাপত্তার জন্য তাদেরকে ঢাকা থেকে সিলেট আনা যাচ্ছে না। এ জন্য মামলাটি ঝুলে যাচ্ছে।
Posted ০৬:১৮ | শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain