| শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গত বছর মে মাসে আটক হওয়া লেখক মুশতাক আহমেদ কাশিমপুর কারাগারে আটক থাকা অবস্থাতেই বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মারা গেছেন।
তবে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তিনি অসুস্থবোধ করলে তাকে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানেই তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে একদল বিক্ষোভকারী।
তারা আজ শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিরও ঘোষণা দিয়েছে।
মিস্টার আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক প্রতিবাদ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, “… মুসতাক কীভাবে মারা গেছেন তাঁর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে তিনি রাষ্ট্রের হেফাজতে ছিলেন, তাঁর দায়িত্ব নিয়েছিলো সরকার – এই মৃত্যুর দায়- হত্যার দায় সরকারের…।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক লিখেছেন, ” মুশতাক জেলে মারা গেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছিলো। তার অপরাধ ছিলো লেখালেখি করা, অন্য কিছু নয়”।
২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের পুলিশ জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং লেখক মুশতাক আহমেদকে ঢাকার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
তাদের বিরুদ্ধে “ফেসবুকে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো”, “জাতির জনকের প্রতিকৃতি”, “জাতীয় সংগীত” এবং “জাতীয় পতাকাকে” অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
মুশতাক আহমেদ ‘কুমির চাষের ডায়েরি’ নামে বইয়ের লেখক, তিনি “মাইকেল কুমির ঠাকুর” নামে একটি ফেসবুক পাতাও পরিচালনা করেন, যাতে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্যও উঠে আসতো।
তিনি বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষ শুরু করেছিলেন।-বিবিসি
Posted ১৭:৪৬ | শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin