শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা নিয়ে সরকারে অস্থিরতা কাজ করছে : সংসদে ইনু

  |   সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ | প্রিন্ট

করোনা নিয়ে সরকারে অস্থিরতা কাজ করছে : সংসদে ইনু

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, করোনা সংক্রমণ ইস্যু নিয়ে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে। লকডাউন-শাটডাউনসহ বার বার প্রজ্ঞাপন পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন,সরকারের ভেতরে আমি অস্থিরতা লক্ষ্য করছি। গত কয়েকদিনে লকডাউন- শাটডাউন নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি এবং তা ঘনঘন সংশোধন। কয়েকঘণ্টার মধ্যে অদলবদল করা। এসব বক্তব্য বিবৃতির মধ্য দিয়ে অস্থিরতাই প্রকাশ পাচ্ছে।

 

সোমবার  জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় করোনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতারও অভিযোগ তোলেন সাবেক এ মন্ত্রী।

 

টিকার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে জাসদ সভাপতি বলেন, সর্বোচ্চ টিকা কূটনীতি প্রয়োগ করে টিকা সংগ্রহ করতে হবে। দেশের ভেতরে টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২০২২ সালের মধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমি মনে করি টিকাই মানুষকে বাঁচাবে।

 

ইনু আরও বলেন, প্রজ্ঞাপনে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যও রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে এটা বাঞ্ছনীয় নয়। একই সঙ্গে আমি যতটুকু জানি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্বাস্থ্যসহ ৯টি মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত। এই মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতাও লক্ষণীয়।

 

গণমাধ্যমে প্রকশিত খবরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, করোনায় মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বাড়েছে। শহরেই নয়, জেলা-উপজেলা শহরেও সংক্রমণ ঘটেছে। ঘরে ঘরে অনেক অসুস্থ। জেলা-উপজেলায় রোগীর জন্য বেড পাওয়া যায় না। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চলছে। সরকারও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন।

 

তিনি বলেন, সংক্রমণ বিস্তাররোধে লকডাউন এবং শাটডাউনের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে দুই-তিনদিনের মধ্যে খাদ্যের জন্য সাধারণ মানুষের হাহাকার শুরু হয়। সঙ্কট দেখা দেয়। অপরদিকে সংক্রমিত ব্যক্তির জন্য বেড, অক্সিজেনের চাহিদা ও আইসিইউর জন্য দৌড়াদৌড়ি। এক্ষেত্রে জেলা-উপজেলার হাসপাতালের অবিলম্বে কিছু বেড বাড়ানো উচিত। আইসিইউ হয়ত বাড়ানো যাবে না। কিন্তু হাইফ্লো নাজাল ক্যানুলা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, পোর্টেবল অক্সিজেন যোগাড়ের সুযোগ রয়েছে। আমার দাবি থাকবে একটা রোগীও যেন হাসপাতাল থেকে ফিরে না যায় সে চেষ্টা করতে কবে।

 

ইনু বলেন, কোভিড মোকাবিলায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জান হাতে নিয়ে কাজ করছেন। তাদের গত নয় মাসে নির্ধারিত কোনো দৈনিক ভাতা দেয়া হয়নি। আমি জানি তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তাদের প্রণোদনা দেয়া দরকার। একই সঙ্গে নীতিমালা পরিবর্তন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকিভাতা-প্রণোদনা দেয়া উচিত।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:১৮ | সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com