| রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট
আমিন মুনশি: কবীরা গুনাহ বলা হয় ঐ সকল বড় বড় পাপকর্ম সমূহকে যেগুলোতে নিন্মোক্ত কোন একটি বিষয় পাওয়া যাবে:
১. যে সকল গুনাহের ব্যাপারে ইসলামে শরীয়তে জাহান্নামের শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
২. যে সকল গুনাহের ব্যাপারে দুনিয়াতে নির্ধারিত দ- প্রয়োগের কথা রয়েছে।
৩. যে সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা রাগ করেন।
৪. যে সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ফেরেশতা ম-লী লানত দেন।
৫. যে কাজের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যে এমনটি করবে সে মুসলমানদের দলভুক্ত নয়।
৬. কিংবা যে কাজের ব্যাপারে আল্লাহ ও রাসূলের সাথে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
৭. যে কাজে দ্বীন নাই, ঈমান নাই ইত্যাদি বলা হয়েছে।
৮. অথবা যে কাজকে আল্লাহ তায়ালা সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয় করা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার মর্যাদাঃ
মহান আল্লাহ বলেন: “যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহগুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের (ছোট) গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেব এবং সম্মানজনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।” (সূরা নিসা: ৩১)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: “পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমআ থেকে আরেক জুমআ এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান এতদুভয়ের মাঝে সংঘটিত সমস্ত পাপরাশীর জন্য কাফফারা স্বরূপ যায় যদি কবীরা গুনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।” (মুসলিম)
Posted ১৫:৩৪ | রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain