| শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯ | প্রিন্ট
রাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের গ্রেফতারে পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই। সে আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেফতারে দেরি হচ্ছে। যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন তিনি।
শনিবার জাতীয় জাদুঘরে তারুণ্য কথা নামের একটি সংগঠনের চিত্রকর্ম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
মালিবাগ ও গুলিস্তানে পুলিশের ওপর ঘটনার তদন্তের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনার তদন্ত আমরা গুছিয়ে এনেছি। শিগগিরই এ ব্যাপারে সবাইকে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সে কারণে দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলের ইমিগ্রেশন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সর্বোচ্চ সর্তক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে সতর্কতার বিষয়টি বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ইমগ্রেশন ও সীমান্তপথে বিভিন্ন কৌশলে ভারতে যাওয়ার সুযোগ থাকে।
ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের গ্রামের বাড়ি যশোর হওয়ায় সীমান্তপথে ভারতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। এজন্য কর্তৃপক্ষ বেনাপোল সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে।
রাফিকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এর দিন দশেক আগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানা জারির দুইদিন পর মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তারপর থেকে পলাতক আছেন তিনি ।
Posted ১৪:৪৩ | শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain