| শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, অতীতের অভিজ্ঞতা আমাদের বলে দেয়, জনগণের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। যারা দেশে স্বৈরশাসন চালাতে চায়, তাদের মূল চেষ্টা থাকে সাম্প্রদায়িকতা, সংকীর্ণ দলীয় মানসিকতায় বিভেদ সৃষ্টি করা। যারা দেশে জনগণের শাসন চায় না, গণতন্ত্র চায় না, তারা বলে দেশ কতভাগে বিভক্ত। জনগণ যে দেশের মালিক, সেটা তারা স্বীকারও করে না, তাদের ক্ষমতাও দিতে চায় না।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে মুক্তিজোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণ ক্ষমতার মালিক হিসেবে যেন নিজের ভূমিকা রাখতে পারে, সেজন্য এ ঐক্যকে সুসংহত করতে হবে। এবার জনগণকে ক্ষমতার মালিকের ভূমিকা রাখতে হবে। সেজন্যই আমাদের এ ঐক্যের ডাক।
তিনি বলেন, আমরা অতীতে ঐক্যের ডাক দিয়ে ভালো সাড়া পেয়েছি, সফল হয়েছি। আপনারা এখানে যেমন ঐক্যের ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছেন। সে রকম পাড়ায়, মহল্লায়, গ্রামে সব জায়গায় এ ঐক্যের ডাককে নিয়ে যাবেন। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে তারা এ দেশের মালিকের ভূমিকা রাখতে পারবে। আমাদের আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। সেই ধরনের শাসনের মধ্যে জনগণ তাদের আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে পারবে। আসুন আমরা এ শপথ নেই, আমাদের এ ঐক্য সবচেয়ে বড় শক্তি।
আগামী নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, অর্থনীতিকে গতিশীল করে, গণতন্ত্রকে ভালোভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে আমরা দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার পদক্ষেপ অবশ্যই নেব। আমাদের সবচেয়ে বেশি যেটা পক্ষে আছে, সেটা হলো জনগণ।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে ঐক্যের ডাক দিয়ে নেমেছি, সেটায় অনেক সাড়া পড়ছে। আমরা আগামীতে দেশকে জনগণের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবো। জনগণ ক্ষমতার মালিক এটা সংবিধানে লেখা আছে। সাময়িকভাবে কোনো সরকার বৈধভাবে এলেও তারা মালিক নয়। মালিকের প্রতিনিধি। আর যারা অবৈধভাবে ওখানে আছে, তারাতো কিছুই না। তারা অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী।
Posted ১৪:৩১ | শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain