বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঐক্যফ্রন্টের আলোচনার দাবিতে কাদেরের ‘না

  |   সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট

ঐক্যফ্রন্টের আলোচনার দাবিতে কাদেরের ‘না

আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আলোচনায় বসতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি নাকচ করেছেন ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, ‘দেশে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যে সংলাপে বসতে হবে।’

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নবগঠিত ঐক্যফ্রন্ট আলোচনার দাবিতে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং আওয়ামী লীগকে চিঠি দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।

সোমবার রাজধানীতে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন কাদের।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে। সুতরাং তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপের দাবি অবাস্তব, অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয়। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যে সংলাপে বসতে হবে।’

এর আগের দিন ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে তফসিল ঘোষণার আগে আলোচনা দাবি করে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও কবে চিঠি যাবে, সেটি ঠিক করতে পারেননি নেতারা।

তফসিল ঘোষণা হতে যাচ্ছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আর এ জন্য ১ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনকে সাক্ষাতের জন্য সময় দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার সেটা সারাদেশে বিরাজমান। এ শান্ত পরিবেশে এটা বাড়তি ঝামেলা।  সংলাপের দাবি বাড়তি ঝামেলা, এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই, বাস্তবতা বা প্রয়োজনীয়তা নেই। সংবিধান অনুযায়ী-ই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

গত ১৩ অক্টোবর কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, বিএনপি, নাগরিক ঐক্য এবং জেএসডি মিলে গঠন করা হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আর সেদিনই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচকালীন নির্দলীয় সরকার, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ সাত দফা দাবির কথা জানানো হয়।

তবে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে দলীয় সরকারের অধীনে। আর এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবিধান সংশোধন করাও কতটা সম্ভব সে নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানবিরোধী বলে রায় এসেছে সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আলোচনাটা যারা করবেন তাদের যে সাত দফা ইস্যু, আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি এটা অবাস্তব, অযৌক্তিক এবং এর একটা দাবিও মেনে নেয়ার মত অবস্থা বা পরিস্থিতি নেই। সুতরাং সংবিধান বর্হিভূত কোনো দাবি মেনে নেওয়া সুযোগ  এই মুহূর্তে নেই। তাছাড়া এই মুহূর্তে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ বা কোনো প্রয়োজন নেই।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সিলেটের সমাবেশের অনুমতি দেয়া নিয়েও কথা বলেন সড়ক মন্ত্রী। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সভা সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের পরিস্কার বক্তব্য সভা-সমাবেশ বা দাবি আদায়ের নামে বিএনপি যদি ২০১৪ সালের মত অহিংসতা বা নাশকতা পথে যেতে চায়,  তাহলে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ করব এবং পুলিশ প্রশাসন উদ্ধত পরিস্থিতীর সমুচিত জবাব দেবে।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদী স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ইকরামুল হাসান ও  নিরাপদ সড়ক চাই  আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:১৬ | সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com