| বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তিন হাজারের বেশি কেন্দ্রে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে প্রথম দিনের পরীক্ষা।
এবারের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী।
গত বছরের চেয়ে এ বছর ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। যে কারণে এ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে ৯৩টি পরীক্ষা কেন্দ্র।
প্রথম দিন এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলছে।
আগামীকাল থেকে দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা শুরু হবে।
এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ছাত্র ও ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
বিদেশে ৪৪৬ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এ বছর ১০টি শিক্ষাবোর্ডের ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান হতে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
এ বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থী হচ্ছে ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন। এ ছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জন এবং বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (১, ২, ৩, ও ৪ বিষয়ে) ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ জন।
এসএসসিতে ৭ লাখ ২ হাজার ২৯৯ জন ছাত্র ও ৭ লাখ ২৩ হাজার ৬০১ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেবে। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী ২১ হাজার ৩০২ জন বেশি।
দাখিলে ছাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার ৫৮৫ জন ও ছাত্রী ১ লাখ ২৫ হাজার ৯১৬ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে ছাত্র ৭৭ হাজার ৬১৭ জন ও ছাত্রী ২৬ হাজার ৫৯৫ জন।
এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ২২ হাজার ২৮৭ জন।
তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামীকাল শুরু হয়ে ২ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে ১১ মার্চ শেষ হবে।
এ বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা নামে দুটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে।
এদিকে, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে সকল পরীক্ষার্থীর হাতে খাতা দেয়া হবে। এতে তারা প্রায় ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবেন।
একমাত্র কেন্দ্র সচিব ছাড়া আর কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বাইরে বিদেশে জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপোলি, দোহা, আবুধাবি, দুবাই, বাহরাইন এবং ওমানের সাহামে ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।
অতীতের মতো আর যাতে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয় সে বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফেসবুকে কেউ প্রশ্নপত্র আপলোড করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বিটিআরসিসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
Posted ০৯:২৫ | বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain