| রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯ | প্রিন্ট
জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৮৫ মিনিটে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার রুহের মাগফিরাতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার স্ত্রী ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ।
রওশন এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে এরশাহের প্রথম জানাজা হবে। রংপুরেও এরশাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। রংপুরে জানাজা শেষে ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে এরশাদকে দাফন করা হবে।
জাতীয় পার্টির কর্নধরের মৃত্যুর খবর শুনে তার পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীরা এরই মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদও বাবার জন্য দোয়া চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশত নসিব করেন।
রোববার বাদ জোহর সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত এরশাদের প্রথম জানাজা হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার হেলিকপ্টারযোগে তাঁর মরদেহ নেওয়া হবে রংপুরে। সেখানে চতুর্থ জানাজা শেষে এরশাদকে ঢাকায় এনে সেনাবাহিনী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৬ জুন থেকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন এইচএম এরশাদ। এরশাদ মাইডোলিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিলেন, রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতায়ও ভুগছিলেন তিনি; সেই সঙ্গে তার ফুসফুসে দেখা দিয়েছিল সংক্রমণ, কিডনিও কাজ করছিল না।
এরশাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রমুখ।
Posted ১৭:২৯ | রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain