বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখন থেকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা: হাফিজ

  |   শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

এখন থেকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা: হাফিজ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করিনি। কিন্তু, আজকে আমরা যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছি, এখন থেকে তারা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবেন।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আয়োজিত এক সমাবেশে এ কথা বলেন হাফিজ উদ্দিন।

বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের ভুলতে বসেছে। এর পেছনে কারণ রাজনৈতিক দলগুলো। যারা যুদ্ধ করেছেন, তাদের জিজ্ঞাসা করবেন। তারা বলবে যে, বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু যারা ৭১ সালে জন্মায়নি, বই পড়ে ইতিহাস জেনেছে, তাদের জিজ্ঞাসা করবেন, তারা বলবে একজন নেতা ঘোষণা দিয়েছে আর মুক্তিযুদ্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা গ্রাম-গঞ্জে সাধারণ মানুষের সন্তান, এ জন্য সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা কেউ বলে না। অথচ আওয়ামী লীগ করলেই, মন্ত্রী হলেই বীর মুক্তিযোদ্ধা হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান মন্ত্রীদের ওপরে। তা না হলে কেন এ সরকারের আমলে একজন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা হতে চান। ৭১ সালে যার বয়স ছিল ৭ বছর। আওয়ামী লীগ করলেই বীর মুক্তিযোদ্ধা। এটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অসম্মানের। মুক্তিযুদ্ধ না হলে দেশ স্বাধীন হতো না। দেশকে স্বাধীন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু এ কৃতিত্ব কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেবে না। সব কৃতিত্ব রাজনৈতিক নেতাদের।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে মেজর হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বীর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া একদফা দাবির কথা আওয়ামী লীগ কখনো বলেনি। তারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি। একমাত্র মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বলেছেন। তবে সে কথা সেভাবে ওঠে আসেনি। তবে যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়ার প্রেক্ষাপট শেখ মুজিব তৈরি করেছেন। কিন্তু সেটা পূর্বপাকিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের জন্যে। অথচ তার অনুপস্থিতিতে একজন সৈনিক ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু সেটাও আওয়ামী লীগ মেনে নিতে চায় না। শেখ মুজিবের সেটা বলা উচিত ছিল। তার বলা উচিত ছিল, ‘আমি না থাকলেও আমার অনুপস্থিতিতে একজন মেজর ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কৃতিত্ব দিলে আমরা ছোট হয়ে যাবো। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মন ছোট নয়।’

এসময় তিনি সামনে বসে থাকা সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে আগামীতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করবে কিনা বলে মতামত চান, সবাই হস্তক্ষেপ করবেন বলে মতামত দেন।

অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিম বীর প্রতীক বলেন, ‌‘আগামী দিনে সরকার গঠন হবে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এসএম ফজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) জয়নাল আবদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খানসহ রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:২৪ | শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com