শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এই সরকার আসার পর অনেক সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন: ফখরুল

  |   সোমবার, ২৭ মে ২০১৯ | প্রিন্ট

এই সরকার আসার পর অনেক সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একটার পর একটা পত্রিকা বন্ধ করেছে। টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আজকে আবার দেখছি, অনলাইনগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এমনকি স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আপনারা অগ্রসেনানীর ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের প্রত্যাশা সব বাধা উপেক্ষা করে আপনাদের ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব রয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করবেন।

তিনি বলেন, আপনারা এমন পেশার সঙ্গে জড়িত, যে জনগণের সামনে সত্য তুলে ধরার দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখন আপনারা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।

এসময় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সমস্ত স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ এখন আর কোনো স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। এটা এখন একটা সম্পূর্ণ পরনির্ভরশীল স্বৈরাচারী সরকারের কবলে পরে একনায়কতন্ত্র রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, একথাগুলো আমাদের নয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশ একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আমরা চরম উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, আমাদের যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলো অর্জন করেছিলাম তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসন দলীয়করণ করেছে এ সরকার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করছে। সম্পূর্ণ অর্থনীতির ওপরে তাদের লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে।

বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জামায়াত নেতা অধ্যাপক তাসনিম আলম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা আবদুল হাই সিকদার, এমএ আজিজ, আবদুস শহিদ, বাকের হোসাইন, ডিআরইউর সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২২:২৮ | সোমবার, ২৭ মে ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

বিএনপি নেতাদের রক্তাক্ত করতে আওয়ামী লীগ জনপথের পর জনপথে শিমুলদের মতো এমপি বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা দেশে নৈরাজ্য ও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। বিজ্ঞাপন শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন। আরও পড়ুন ভিসা ফি বাবদ দৈনিক ৮০ কোটি টাকা নেয় ভারত : গয়েশ্বর ‘জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন’ বিজ্ঞাপন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী গত ১৩ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে সিংড়ার দিকে রওনা হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ফুলবাগান এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে মাইক্রোবাসে থাকা সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয়। পায়ে তিনটি গুলি করে। খবর পেয়ে বিএনপির দুই কর্মী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে তাৎক্ষণিক রাজশাহীতে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়। বিজ্ঞাপন রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের উপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে। কারণ, তাদের সঙ্গে কোনো জনগণ নাই, জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না। তবে সন্ত্রাস নির্ভর সরকারের পরিণতি ভালো হবে না। নাটোরের এমপি শিমুলের সন্ত্রাসী বাহিনীরা ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, তার উপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। সরকার বিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামে তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার উপর ক্ষুব্ধ। কিন্তু হত্যা করে, নিপীড়ন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com