| সোমবার, ২৭ মে ২০১৯ | প্রিন্ট
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একটার পর একটা পত্রিকা বন্ধ করেছে। টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আজকে আবার দেখছি, অনলাইনগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এমনকি স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আপনারা অগ্রসেনানীর ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের প্রত্যাশা সব বাধা উপেক্ষা করে আপনাদের ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব রয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করবেন।
তিনি বলেন, আপনারা এমন পেশার সঙ্গে জড়িত, যে জনগণের সামনে সত্য তুলে ধরার দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখন আপনারা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।
এসময় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সমস্ত স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ এখন আর কোনো স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। এটা এখন একটা সম্পূর্ণ পরনির্ভরশীল স্বৈরাচারী সরকারের কবলে পরে একনায়কতন্ত্র রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, একথাগুলো আমাদের নয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশ একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আমরা চরম উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, আমাদের যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলো অর্জন করেছিলাম তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসন দলীয়করণ করেছে এ সরকার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করছে। সম্পূর্ণ অর্থনীতির ওপরে তাদের লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জামায়াত নেতা অধ্যাপক তাসনিম আলম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা আবদুল হাই সিকদার, এমএ আজিজ, আবদুস শহিদ, বাকের হোসাইন, ডিআরইউর সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী প্রমুখ।
Posted ২২:২৮ | সোমবার, ২৭ মে ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain