শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এইচএসসির ফল বৃহস্পতিবার!

  |   সোমবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট

এইচএসসির ফল বৃহস্পতিবার!

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে এইচএসসি তথা উচ্চমাধ্যমিকে মূল্যায়নের ফল। শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসির ফল মূল্যায়ন করে একটি বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ ফল তৈরি করা হলেও কিছু আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সেই আইনি ঝামেলা শেষ করে আগামী বৃহস্পতিবার এবারের ‘বিশেষ’ এইচএসসির ফল প্রকাশ করতে পারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মূল্যায়নের ফল তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সব ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার বা সর্বোচ্চ শনিবারের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে ফল। যেহেতু এটা অটোপাস তথা আপনাআপনি উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়, তাই এবারের এইচএসসির ফল প্রকাশ করতে একটি বিশেষ অধ্যাদেশের প্রয়োজন পড়ছে। পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি অধ্যাদেশের সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হবে আজ সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে এটি অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার জন্য নথি পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন। সেটি হলেই ফল প্রকাশ করতে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে মূল্যায়নের ফল।

এর আগে ২৯ ডিসেম্বর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেনে, ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশ করতে গেলে আইনি প্রক্রিয়া হিসেবে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। অধ্যাদেশ জারির পর ফল প্রকাশ করা হবে। করোনার কারণে এবার বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল দেওয়া হচ্ছে। ফল নিয়ে যদি কোনো শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হন, তাহলে তিনি নিজ শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করতে পারবেন। তবে আশা করছি, ফল নিয়ে কেউ অসন্তুষ্ট হবেন না।’

এইচএসসির গ্রেড মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রস্তুত আছে। তবে অধ্যাদেশ জারি না হওয়ায় তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি এখন কেবিনেট ও মন্ত্রণালয়ের। তবে এ কাজগুলো আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি। এরপর প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন, সেদিনই প্রকাশ হতে পারে ফল।’ তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার যদি প্রধানমন্ত্রী সময় দেন, তাহলে সেদিনই ফল প্রকাশ হতে পারে।

টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, ফল প্রকাশের পর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কোনো বিষয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে চাইলে তাদের ফল এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় ওই বিষয়ে পাওয়া নম্বর গড় করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, কারো ক্ষেত্রে যদি মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে চাওয়ার বিষয়টি এসএসসি কিংবা জেএসসিতে না থাকে, তাহলে ওই বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়ের নম্বর গড় করে তার রেজাল্ট দেওয়া হবে।

এস এম আমিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘যেহেতু রেজাল্ট নিয়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে চায়, সেহেতু মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়া কারো রেজাল্ট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমরা সেভাবেই ফল তৈরি করার জন্য সফটওয়্যার আপডেট করেছি।’ চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চতুর্থ বিষয়ের নম্বরসহ এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে। এসএসসি পরীক্ষায়ও ব্যবহারিক বিষয় ছিল। এসএসসিতে ব্যবহারিক বিষয়গুলোর নম্বরসহ রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সে নম্বর অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের রেজাল্ট দেওয়া হবে।

এস এম আমিরুল ইসলাম জানান, গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নভেল করোনাভাইরাসজনিত বৈশ্বিক মহামারির কারণে তা বাতিল করা হয়। শিক্ষার্থীদের জেএসসি এবং এসএসসির ফল গড় করে এইচএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে জেএসসি-জেডিসির ফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে ফল ঘোষিত হবে।

এদিকে এইচএসসির ফল প্রকাশের কাজ চললেও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকেও অমীমাংসিত পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এর ফলে ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা হতাশ। পরীক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘ ১০ মাস শিক্ষাকার্যক্রমের বাইরে রয়েছে। কোনো অনলাইন ক্লাসও হচ্ছে না। এতে হতাশা বাড়ছে। সরকারের কাছে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়ার দাবি জানান তারা।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন। তাদের রেফার্ড পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় দরকার। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এর জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়া গেলে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:০৮ | সোমবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com