| রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর ক্ষেত্রে সৎ ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয়ার প্রক্রিয়ার প্রতিফলন আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও থাকবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
রোববার সচিবালয়ে ওমানের রাষ্ট্রদূত তাঈদ সেলিম আব্দুল্লাহ আল আলাউই-য়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এ কথা জানান।
যুবলীগের নতুন কমিটির বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত এটি একটি চমৎকার কমিটি হয়েছে। নানা কারণে যুবলীগকে নিয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, কিছু নেতৃত্বের কারণে। সেটার পর গতকাল সম্মেলনের মাধ্যমে যে কমিটি গঠিত হয়েছে…যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির সন্তানের (শেখ ফজলে শামস পরশ) হাতে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত সুশিক্ষিত ও মার্জিত একজন মানুষ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। তিনি বহুদিন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন, বর্তমানে ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাকে (মাইনুল হোসেন খান নিখিল) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনিও অত্যন্ত ভদ্র ও ভালো। যুবলীগের নানা নেতাদের নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিলেও তাকে নিয়ে বিন্দুমাত্র কোনো প্রশ্ন সেই। তিনি ভালো সৎ ও নিষ্ঠাবান একজন মানুষ।’
‘এই দুজনকে নেতৃত্বে দেয়ার মাধ্যমে আমি মনে করি যুবলীগের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের ক্ষেত্রে কী বার্তা দিতে যাচ্ছেন- এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের পরিবার পরিচালিত হয়। সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের অনেকগুলো সম্মেলন হয়েছে। প্রত্যেকটি সম্মেলনের মাধ্যমে যাদের হাতে নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে তারা সবাই স্বচ্ছ ভাবমূর্তের সৎ ও ভালো মানুষ। এটির মাধ্যমে রাজনীতিকে যারা কলুষিত করতে চান এবং রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের যে প্রক্রিয়া জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন, খালেদা জিয়া ও এরশাদ যেটির ষোলকলা পূর্ণ করেছিলেন, সেই চক্র থেকে বের করে এনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির শিক্ষিত মানুষের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিচ্ছেন। এটি রাজনীতি ও দেশের জন্য মঙ্গল।
অন্য দলগুলো এটা থেকে শিক্ষা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও এর প্রতিফলন থাকবে কি না- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি আমি বলতে পারব না, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি এটা বলতে পারবেন। তবে নিশ্চয়ই এখানে যে প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়ার বাইরে তো আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে না বা থাকবে না।’
বিএনপির অনেক নেতা বলেছেন তারা হরতাল অবরোধের মতো দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচিতে যেতে চাচ্ছেন বা যাবেন। বিষয়টি সরকার কীভাবে দেখছে এবং কী প্রস্তুতি রয়েছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী হরতাল অবরোধ মানে জনগণকে জিম্মি করার রাজনীতি। জনগণকে জিম্মি করার রাজনীতি অনুসরণের কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাজনীতিতো জনগণকে জিম্মি করার জন্য নয়, জনগণের কল্যাণের জন্য।’
প্রতিবাদের ভাষা দিনের পর দিন জনগণকে জিম্মি করা নয়। এটি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি করেছে। প্রতিবাদের ভাষা মানুষের উপর বোমা নিক্ষেপ নয়। তারা যদি আগের ভুল পথ আবার অনুসরণের চেষ্টা করে, প্রথমত জনগণ সেই সুযোগ তাদের দেবে না। এরপরও যদি তারা চেষ্টা করে এখন যে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তারা জনবিচ্ছিন্ন নির্জন দ্বীপের বাসিন্দা হয়ে যাবে সেক্ষেত্রে রাজনীতির মাঠে।’
ওমানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওমানে প্রায় ২০ লাখ বিদেশি আছে এরমধ্যে প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশি তার ভাষ্য অনুযায়ী। তারা অত্যন্ত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বাংলাদেশিরা সেখানে কাজ করছে। তিনি সেটার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।’
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। ওমানের বিনিয়োগ যাতে বাংলাদেশে আসে সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
Posted ১৫:১৩ | রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain