শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আড়াই কোটি টাকাই গচ্চা

  |   মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮ | প্রিন্ট

আড়াই কোটি টাকাই গচ্চা

ডেস্ক রিপোর্ট : মানুষের নিরাপত্তার জন্য বরিশাল নগরে স্থাপিত ২৫০টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা চালু করা হয় ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটা করে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আহসান হাবীব কামাল। অনুষ্ঠানেই ঘোষণা করা হয়, ক্যামেরাগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে মেট্রোপলিটন পুলিশ। কিন্তু শর্ত পূরণ না করায় ক্যামেরার আর খোঁজ নেয়নি পুলিশ। বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) কর্তৃপক্ষও তদারকি করেনি। ফলে দুই কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থাপিত ক্যামেরাগুলোর বেশ কয়েকটি চুরি হয়ে গেছে। কয়েকটির শুধু খোসা আছে। বাকিগুলো পড়ে আছে অকেজো হয়ে।

বিসিসির দেওয়া তথ্যানুসারে, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নগরের সদর রোড, বগুড়া রোড, জিলা স্কুলের মোড়, বিএম কলেজ রোড, বান্দ রোড শিশু পার্ক মোড়, লঞ্চঘাট, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল, রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড, জেলখানা মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে (পয়েন্ট) ২৫০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। কিন্তু চালুর দুই মাসের মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৫৫টি ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ে এবং সংযোগ তার দুর্বৃত্তরা নিয়ে যাওয়ায় প্রায় ৫০ শতাংশ ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যায়। আর রক্ষণাবেক্ষণ না করায় এক বছর পর ক্যামেরার ৯৫ শতাংশ সংযোগ তার ও ৫০টি ক্যামেরা চুরি হয়ে যায়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেড় শতাধিক ক্যামেরা একেবারে বিকল আর বাকিগুলো সংযোগ তার না থাকায় অচল হয়ে পড়ে আছে।

অনিয়মের তদন্ত হয়নি

নগরে ২৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল, নগর মেয়র আহসান হাবীব কামালপুত্র কামরুল হাসান রুপমের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে; কিন্তু এর তদন্ত হয়নি। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ক্যামেরাগুলো চালু করে দেওয়া হয়।

দাবি মানেনি বিসিসি, কিছুই করার নেই

ক্যামেরাগুলো চালু করার পরপরই বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) এসব নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু দাবি তোলে। এর মধ্যে ছিল ক্যামেরার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা সারাতে বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন; প্রতিটি ক্যামেরার নিচে একটি করে বক্স স্থাপন করে দেওয়া, যেখানে একজন নিরাপত্তারক্ষী থাকতে পারেন এবং ক্যামেরা সচল রাখতে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি কিনে দেওয়া। কিন্তু একটি দাবিও পূরণ করেনি বিসিসি কর্তৃপক্ষ। তাই বিএমপিও ক্যামেরার কোনো দায়িত্ব নেয়নি। আর বিসিসি কর্তৃপক্ষও ক্যামেরাগুলোর কোনো তদারকি করেনি। এমনকি একটি সিসি ক্যামেরাও পর্যবেক্ষণ করেনি।

বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান নগরে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার বেশির ভাগ অচল হয়ে পড়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘টাকা বরাদ্দ না থাকায় এ বিষয়ে কিছুই করার নেই আমাদের।’

পুলিশের বক্তব্য

বিএমপির কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ওই ক্যামেরাগুলো স্থাপনের সময় কথা ছিল তার নিয়ন্ত্রণ আমাদের দেওয়া হবে। সচল রাখতে আনুষঙ্গিক কিছু বিষয়ে নগর ভবনকে দায়িত্ব নিতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা অপারগতা প্রকাশ করলে আমরা আর ওই ক্যামেরার দায়িত্ব নিইনি। ফলে ক্যামেরাগুলোর বর্তমান অবস্থা কী, তা-ও জানি না।’ সূত্র : কালের কন্ঠ

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:১০ | মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com