শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

’’আল্লাহ এ কোন গজব দিলায়’’’’ছেলে-মেয়েদের কিতা খাওয়াইতাম’’ : নবীগঞ্জে দিশেহারা কৃষকের কান্না

  |   রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট

’’আল্লাহ এ কোন গজব দিলায়’’’’ছেলে-মেয়েদের কিতা খাওয়াইতাম’’ : নবীগঞ্জে দিশেহারা কৃষকের কান্না

ছনি চৌধুরী,(হবিগঞ্জ)নবীগঞ্জ : লাগাদ্বার বৃষ্টিতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে পানির নীচে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার কৃষকের সপ্ন । সব কিছু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা । টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে প্রবল বন্যা সৃষ্টি হয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার ফসল তলিয়ে গেছে পানির নীচে ।অন্যদিকে দিনমুজুর কৃষকের ঘরে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট ।কৃষকের কান্না এখন ঘরের চালার নিচে না হয় ফসলের পাশে বসে । ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পাগলের ন্যায় ঘুরে বেরাচ্ছেন দিন মুজুর কৃষকরা চারদিকে শুধু হাহাকার ও আহাজারির ঢলে নজরকার মত ।

গত ২৮ মার্চ থেকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলে ১৬ হাজার হেক্টর জমির কাঁচা বোরো ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে। টানা বৃষ্টিপাত এবং উজানের পাহাড়ি ঢলে কারণে নদ-নদী, খাল, বিলের পানি বেড়ে একাকার হয়ে গেছে । অসময়ের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নদনদী ও খাল-বিলের পানি বেড়ে বিভিন্ন হাওর ভেসে একাকার হয়ে গেছে।ফসলে ধান পাকার আগেই কাঁচা ধানের তোড় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। সরেজমিনে বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায় চারদিকে শুধু পানি আর পানি কয়েকদিন পূর্বে যে ফসল ছিল তার কোনো অস্তিত্বই নেই ।

নবীগঞ্জ উপজেরার উপজেলার বরার হাওর, পাহাড়ি অঞ্চল দিনারপুর পরগণার বড় হাওর,রৌউয়া,কোদ্দইলা,কাটমা,বেত্তুয়া,দীঘলবাক ইউনিয়নের সাতাশি বন, কসবার ফেরিসাইট, এরাবরাব নদীর চর, মখা হাওর, গুঙ্গিয়ারজুরি হাওর, সৌলাগর, লাউয়াইল বিল, আলমপুরের বরবিল, বেরিবিলসহ উপজেলার ৩৫টি হাওরের কয়েক হাজার কোটি টাকার ফসল তলিয়ে গেছে। আউশকান্দি ইউনিয়নের কৃষক আলাউর মিয়া বলেন, এবার দুর্ভিক্ষ ছাড়া কিছুই চোখে দেখছি না।’ নবীগঞ্জ কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় লক্ষমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ৮০০ হেক্টর। এখানে অর্জিত হয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ হেক্টর । জানা গেছে, নবীগঞ্জে বিএডি বা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্দিষ্ট কোন দপ্তর না থাকায়,যার ফলে বিভিন্ন খাল, নালা ভরে গিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যহত হচ্ছে। এসব কারণে হাওরের ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

রবিবার সরেজমিনে পাহাড়ি অঞ্চল দিনারপুর পরগণার গজনাইপুর ইউনিয়নে হাওর ঘুরে দেখার সময় দেখা যায় ,ফসলের বসে কাদঁছেন দিন মুজুর কৃষক শেখ মিয়া, আল্লা এ কোন গজব দিলায় আমার ছেলে মেয়েদের এখন কিতা খাওয়াইতাম পরে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় এই দিশেহারা শেখ মিয়ার তিনি জানান,১-২ দিনের চাউল ঘরে আছে ২দিন পরে ছেলে মেয়েদের কিতা খাওয়াইমু । দিন আনি দিণ খাই আমরা দিন মুজুর অন্য জনের কিছু জমি করছিলাম কত সপ্ন আছিল জমি নিয়া বৃষ্টি দিয়া সব সপ্ন শেষ অইয়া গেল ।

এই রকম আহাজারির চিত্র এখন নজরকারার মত শেক মিযার মত নবীগঞ্জে হাজার হাজার কৃষকের ঘরে খাবার সংকট দেখা দিয়েছে ।দিন মুজুর কৃষক আব্দুল মন্নান জানান,৪একর জমি চাষ করছিলাম সব শেষ ঘরে চাউল নাই বাজারে চাউল কিনতে গিয়া দেখি প্রতিকজি চাউলের দাম ৫২/৫৩ টাকা অথচ কয়েকদিন আগে চাউলের দাম আছিল ২৫/২৬ টাকা পরে কেজি আটা আনচ্ছি ।দিন মুজুর কৃষকদের খাদ্য সংকট দূর করণে সংসদ সদস্য,সংরক্ষিত সংসদ সদস্য,উপজেলা চেয়ারম্যান সহ উর্ধতর্ন সকল কর্মকর্তা সু-দিষ্ট কামনা করেছেন দিশেহারা কৃষকগন ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:০৭ | রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০১৭

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com