| মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, তাদের দল এখন অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গেছে। অর্থাৎ তারা মুক্তিযোদ্ধা নয় অনুপ্রবেশকারী। তাহলে এখন কি ধরে নিতে হবে আওয়ামী লীগ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে না। বরং যে স্বাধীনতার জন্য আমরা সংগ্রাম করেছি যুদ্ধ করেছি সেই স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরূপে ভুলন্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ বলেন, সরকারের মধ্যে আমরা এক রকম অস্বস্তি দেখতে পাচ্ছি। এর কারণটা কী? এর কারণ হলো তাদের দুঃশাসন, অপশাসন, দুর্নীতি, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে যে আজকের তাদের এই অপকর্মের ভারেই তাদের পতন ঘটবে।
তিনি বলেন, আজকে তারা স্বাধীনতার চেতনার নতুন সংজ্ঞা দিয়েছেন। সেই সংজ্ঞা হলো, স্বাধীনতার চেতনা মানেই হলো একদলীয় শাসন, স্বাধীনতার চেতনার মানে হল ভোট চুরি করে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা। স্বাধীনতার চেতনা হলো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকতে পারবে না, আইনের শাসন থাকতে পারবে না এবং আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, আমরা ২৪ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। এখন মাঝেমধ্যে ভাবতে হয়, আমরা কেন এই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম।
১১ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে মন্তব্য করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, এসব ভিসিদের তো শিক্ষার্থীদের সম্মান করার কথা ছিল। তাদের তো আদর্শ পুরুষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা সম্মান রক্ষা করতে পারেন নাই তাই শিক্ষার্থীরা সম্মান করেননি। ভিসিরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে আর আমাদের সরকার প্রধান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলছে, তারা দুর্নীতির প্রমাণ করতে না পারলে তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দেবেন। যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তিনি যদি স্বপদে বহাল থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা কোনভাবে সম্ভব নয়।
উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করে দেয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, এই উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ কি কোনো ব্যক্তিগত অর্থ? এই প্রকল্পতো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য, হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের মঙ্গলের জন্য। এই প্রকল্পের অর্থ বন্ধ করে দাও আর এই যে একটা মানসিকতা তিনি প্রকাশ করেছেন এতেই প্রমাণ সরকারের মধ্যে কাজ করছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মওদুদ বলেন, এটা মনে রাখবেন যে বেগম জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত করা সম্ভব নয়। কারণ সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে তার জামিনে মুক্ত হওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে। বেগম জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ আন্দোলন আর এর মাধ্যমেই বেগম জিয়া মুক্ত হবেন।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
Posted ২২:৫০ | মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain