শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমার কাছে এখনকার জন্মদিন নিদারুণ কষ্টের: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

আমার কাছে এখনকার জন্মদিন নিদারুণ কষ্টের: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জীবনে আজ বিশেষ দিন। বৃহস্পতিবার তার ৭৬তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের এদিনে ঠাকুরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে উত্তরার ভাড়া বাসায় থাকেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। সকালে তার সহধর্মিনী ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ জানিয়েছেন। একসঙ্গে তারা সকালে ব্রেকফাস্ট করেছেন, চা খেয়েছেন। পরে বাসা থেকে নিজের প্রাইভেটকারে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন বিএনপি মহাসচিব। পথে অনেক নেতারা টেলিফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানান।

 

নয়া পল্টনে আসার পর দলের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জন্মদিনের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর আগেই বারণ করে দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, জন্মদিন মানে আরো একটি বছর চলে গেলো। বৃদ্ধ থেকে বৃদ্ধের পথে যাচ্ছি। সকালে দুই মেয়ের টেলিফোনে ঘুম ভেঙেছে আমার। দুই মেয়ে আর আপনাদের ভাবীর (সহধর্মিনী রাহাত আরা বেগম) শুভেচ্ছায় দিন শুরু করেছি। আমার বড় মেয়েই প্রথম ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ বললো।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পা রাখলাম ৭৬ এ। আমার কাছে এখনকার জন্মদিন নিদারুণ কষ্টের। কারণ আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাবন্দি, এখন গৃহে অন্তরীণ হয়ে আছেন। নিদারুণ কষ্ট-যন্ত্রণায় দিনযাপন করছেন। এরকম একটা অবস্থায় জন্মদিন নিয়ে কি বলার আছে?

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালযে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সাংবাদিকরা তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে মির্জা ফখরুল বলেন, ধন্যবাদ আমাকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, আমার সময় প্রায় শেষের দিকে।

এ সময় পাশে বসা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, একটা ছোট্ট গোলাপ দিলে ভালো হতো। মির্জা ফখরুল বলেন, না, না- প্লিজ এটা করবেন না।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ওয়ান হান্ড্রেড দুই নট আউট। দেখছেন ছবিটা। এই ছবিটা সকলকে দেখতে বলব। ইটস এ ওয়ান্ডারফুল মাস্টার পিস পিকচার। আমাদের মতো মানুষদের এই জীবনকে পজেটিভলি নেওয়া –এটা এতো চমৎকারভাবে এই ছবিতে উঠে এসে্ছে। অনেকে আছেন না বৃদ্ধ হয়ে যায়, মরার আগে মরে যান্। তো ওটাকে নেগেট করে ১০২ বছরের বৃদ্ধ সে জীবনকে উপভোগ করেতেছে এটা দেখার মতো। সকলেরই এই ছবি দেখা উচিত।

বড় মেয়ে শামারুহ মির্জা স্বামী-সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। সিডনির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টডক্টরাল ফেলো হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ছোট মেয়ে সাফারুহ মির্জা ঢাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

মির্জা ফখরুলের বাবা প্রয়াত মির্জা রুহুল আমিন মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন, মন্ত্রীও ছিলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফখরুল ছাত্র জীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন তিনি।

ঢাকা কলেজসহ কয়েকটি সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন ফখরুল। সরকারি চাকরি ছেড়ে আশির দশকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:৫৪ | বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com