| বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আজকের যে ইসি এটা একটা দালাল গোষ্ঠী। এরা এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে চায়। ওরা (আওয়ামী লীগ) বিদেশি প্রভুদের পা চাটা কুকুর। বিদেশি প্রভুদের পা চেটে এরা টিকে থাকতে চায়।
আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সুস্থতা কামনায় সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরামের উদ্যোগ এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারকে আমরা মানি না, এই সরকারের ইসিকে আমরা মানবো কেন। এই সরকার একটি অবৈধ সরকার। এই অবৈধ সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচন মেনে নেব না। এই সরকারের অধীনে এ দেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না। এ দেশের জনগণ সচেতন হয়েছে, একটি রিকশাওয়ালাও বুঝতে পারে তার ভোটের অধিকার আছে। এই ইসির অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। সুতরাং যদি নির্বাচন করার করে চেষ্টা করে তাহলে তা প্রতিরোধ করা হবে। সরকার যদি নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে সেটাকেও প্রতিরোধ করা হবে। রাতের অন্ধকারে আবার আগের মতো লুট করে নিয়ে যাবেন সেটা পারবেন না।
আব্বাস বলেন, ‘শুধু বিএনপি নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন হবে, যৌথ আন্দোলন হবে, সকল দল ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। সুতরাং আওয়ামী লীগের আর টিকে থাকা সম্ভব নয়। যারা ভাবছেন আওয়ামী লীগ আবার আসবে আবার টিকে থাকবে তারা বোকার সঙ্গে বসবাস করছেন। দেশের মানুষ সচেতন হয়েছে নির্বাচনের আগেই এই ইসিসহ আওয়ামী লীগকে বিদায় করবে।
তবে সাবেক এই মন্ত্রী সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, ‘জানি না আওয়ামী লীগ তো… এদের আবার অনেক শয়তানি বুদ্ধি রয়েছে। আবার কোনো বুদ্ধি করে চলে যায় বলা খুব মুশকিল।
গতকাল রাতে সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদককে তার বাড়ির দরজা ভেঙে র্যাবের সদস্যরা তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান মির্জা আব্বাস। বলেন, ‘র্যাব কিংবা পুলিশ বা কোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এই কাজ করতে পারে না। তার যদি কোনো অপরাধ থাকে ওয়ারেন্ট হবে সে সারেন্ডার করবে। কিন্তু র্যাব তাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে না।
আব্বাস বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আজকের প্রধানমন্ত্রী বললেন, বিএনপি যদি কোনো মিছিল মিটিং করতে চায় তাহলে আমরা তাদের কোনো বাধা দেব না। এটাও বলেছেন, যদি গণভবন ঘেরাও করতে আসে তাহলে চা খাওয়াবো। তারপরে সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হলো বহু লোক গুলিতে চোখ হারালো। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের কোনো কথা বিশ্বাস করা যায় না। আওয়ামী লীগের কোনো কথা বিশ্বাস করতে চাই না, তাদের কোনো কথা শুনতেও চাই না। আমরা আমাদের কাজ করে যাব। আমাদের কাজ হলো এই সরকারের পতন ঘটানো এবং দেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন গুলি করতে শিখে গেছে, আমরাও গুলি খেতে শিখে গিয়েছি, কোনো সমস্যা নেই। দেশে ১৬ কোটি লোক, কিন্তু ১৬ কোটি গুলি আওয়ামী লীগের নেই। যারা বেঁচে থাকবে তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগের বিচার করবে। খুনের বিচার করবে লুটের বিচার করবে ডাকাতের বিচার করবে। একদিন এই বিচার হবেই।
সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
Posted ১১:০১ | বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain