| শনিবার, ২৫ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
আমরা তোমাদের ভুলব না মুক্তিযোদ্ধারা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। উনাদের সম্মানের সঙ্গে নীহিত আছে সমস্ত জাতীর,পুরো বাংলাদেশের সম্মান এবং অস্থিত্য। সম্প্রতি ফ্রান্সের বাংলাদেশ দূতাবাসে ঘটে যাওয়া ঘটনার অবতারনা করছি…..
জনাব নূর সিকদার নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেছেন দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস অনুষ্ঠানে ওনাকে বসার জায়গা দেয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের অন্তর্ধন্দের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত অনুষ্ঠানে হট্টগোল হয় ,
সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মাননীয় রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ হিমশীম খায়,
ঐ সময় কে কোথায় কিভাবে বসেছিলো তা দেখার সুযোগও ছিলো না।
পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাষ্ট্রদূত সম্মানের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের আসন গ্রহনের অনুরোধ জানান।
এ ক্ষেত্রে উল্লখ করা যায় স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব উল্লেখিত আসনে বসে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের একটি অচল অবস্থার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। একটি প্রশ্ন ?
একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে উনি দাবি করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা হয়নি, এখানে উল্লেখ করা যায় ফ্রান্সে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের মূখপাত্র হিসাবে সংগঠনটি কাজ করে।
উনি তাদের স্বরনাপন্ন না হয়ে, কিংবা কোন মুক্তিযোদ্ধাকে সাথে না নিয়ে কি উদ্দেশ্যে এককভাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ?
কারা এর আয়োজনে ছিলেন?
কার স্বার্থে এ ধরনের বক্তব্য ?
এগুলো সাধারন মানুষের কাছে অত্যন্ত অস্পষ্ট ।
যেহেতু উনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে দাবি করেছেন সেহেতু উনার উচিৎ ছিলো মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে উনার পরিচয় পত্র সবাইকে জানানো, কারণ ফ্রান্সে একটি বিতর্ক সবার মধ্যে রয়েছে যে, আসল এবং নকল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে।
তার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্নটা স্বাভাবিক।
এই ভদ্রলোক যদি পরিচয় দিতেন তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন,
কার অধীনে যুদ্ধ করেছেন এধরনের ব্যাখ্যা থাকলে বিষয়টা আরো ষ্পষ্ট হতো।
এ প্রসঙ্গে জনমনে একটা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বিগত এক বছর যাবত উনি ফ্রান্সে বসবাস করছেন, এখনো কমিউনিটির অনেকের সঙ্গেই উনার পরিচয় হয়নি, স্বাভাবিকভাবে এটাও সম্ভব বাংলাদেশী কমিউনিটি ফ্রান্সে পরিচিতি লাভের প্রত্যাশায়ও উনি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করতে পারেন এবং অতি উৎসাহী সংবাদকর্মী সহানুভূতির সঙ্গে তাকে সাহায্য করতে পারেন, এটা অনেকেরই ধারনা।
দূতাবাসের কার্য্যক্রম কিংবা অন্যান্য বিষায়বলী নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই তবে এই বিশেষ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ঐ ভদ্রলোক এমন কার্য্যকলাপে উনি কি প্রমাণ করতে চেয়েছেন?
আমার মনে হয় না আসল মুক্তিযোদ্ধারা যারা দেশকে স্বাধীন করেছেন দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন তাদের সম্মানে এধরনের কার্য্যকলাপ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
এ ব্যাপারে আমি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক এবং একজন সংবাদকর্মী হিসাবে ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই অতি উৎসাহী কিছু ব্যাক্তিবর্গ এবং সংবাদকর্মী এ ধরনের উদ্যোগকে সহযোগীতা করার মাধ্যমে বাংলাদেশ তথা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কতটুকু দায়িত্ব পালন করবেন ? ফয়সাল আহাম্মেদ দ্বীপ ইউরোপ থেকে:
Posted ০৫:৪৫ | শনিবার, ২৫ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain