| সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এই দেশ মানুষের মালিকানায়। কোনও রাজার মালিকানায় না। আমরা কারও প্রজা না। আমরা নাগরিক। স্বাধীন দেশের মানুষ কেউ প্রজা না। তারা নাগরিক। নাগরিকের দায়িত্ব আছে, কর্তব্যও আছে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ পেশাজীবী পরিষদের আয়োজনে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পেশাজীবীদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথঅ বলেন।
ড. কামাল বলেন, আর মাত্র পাঁচ দিন আছে। আপনারা ভোটের মাধ্যমে দেখিয়ে দিন। আমাদের যেন কেউ আর প্রজা বলতে না পারে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাহস থাকে তো সামনে আসেন। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, আসো সামনা-সামনি। কয় লাখ লোক মারবে। সব মানুষ মারতে পারবা না।
ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, যারা মনে করেন যে দু’একটি গুন্ডাপান্ডা দিয়ে ভয় দেখালেই আমরা ভীত হবো তারা আহাম্মক যুগে বাস করছে। কারণ কয়েকটি গুন্ডাপান্ডা দিয়ে ১৮ কোটি মানুষকে মেরে ফেলা সম্ভব না।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, সংবিধানে বলা আছে দেশের মালিক জনগণ। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও ভোট দিতে আন্দোলন করতে হয়। এটা লজ্জার বিষয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল তা হলো মানুষের ভোটের অধিকার ও নাগরিক অধিকার রক্ষা করা। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শহীদদের আমানত রক্ষা করতে হবে।
কামাল হোসেন বলেন, বাঙালী বীরের জাতি, সুতরাং ভয় দেখিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বিরত রাখা যাবে না। জনগণ ভোট দিতে যাবে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।
তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ফজরের নামাজের পর থেকে শুরু করে ভোট গণনা পর্যন্ত কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।
পুলিশের উদ্দেশ্যে ড. কামাল বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা পালন করেছিল। তার উত্তরসূরি হিসাবে আপনারা উপর মহলের কোন বেআইনি আদেশ মানবেন না। কারণ বেআইনি আদেশ পালন করা অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি সেনাবাহিনী পক্ষপাতিত্ব করবে না। নিজেদেরকে লজ্জায় ফেলবেন না।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত মাহমুদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।
Posted ১৫:২০ | সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain