| শনিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট
আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন মিলিয়ে পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় আসন্ন রমজানে চাল, পেঁয়াজ, চিনি ও ছোলাসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না বলে আভাস দিয়েছে পাইকারী ব্যবসায়ীরা। এদিকে ১০-১৫ দিনের মধ্যে ইরি মৌসুমের নতুন চাল আসায় বাড়বে না চালের দাম। তাই অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন দ্রব্যের দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে সরকারের কঠোর নজরদারির পরামর্শ পাইকারদের।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে বছরে ছোলার চাহিদা প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন। যারমধ্যে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ব্যবহৃত হয় রমজান মাসে। এ মাসকে পুঁজি করে দফায় দফায় ছোলার বাড়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর পাইকারি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার পর্যাপ্ত ছোলা আমদানি হয়েছে। মজুদ রয়েছে চিনি ও ভোজ্য তেলের। সরবরাহে ঘাটতি নেই মসলার বাজারে।
তারা জানান, ভাল মানের ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর চিনি গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২ থেকে আড়াই টাকা কমে গেছে। প্রত্যেক কোম্পানির কাছে প্রচুর চিনি রয়েছে। আশা করি রমজানে ৪৫- ৫০ টাকার মধ্যে চিনি বিক্রি হবে।
সদ্য মৌসুম শেষ হওয়ায় বাজারে দেখা মিলছে দেশি পেঁয়াজ ও রসুনের। কমতি নেই আমদানি করা পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের।
অন্য আরেক ব্যবসায়ী জানান, বাংলাদেশি রসুন ৪৫-৫০ টাকা, সেই সঙ্গে চায়না আদা ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেয়াজ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০-৩২ টাকায়, এই সপ্তাহেও বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, হাওড় অঞ্চল’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধানকাটা শুরু হওয়ায় বাড়বে না চালের দর।
চাল ব্যবসায়ী জানান, চালের মধ্যে মিনিকেট চলছে ৬১-৬৫ টাকা, আটাইশ বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকা। ভারতীয় চাল ৩০-৩৮ টাকা।
তবে, আশ্বাস দিয়েও পহেলা বৈশাখের পর পর্যাপ্ত চাল সরবরাহ করছেন না মিল মালিকরা। বাজার স্থিতিশীল রাখতে মিল মালিকদের দ্রুত চাল সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়ীরা। সূত্র: সময় টিভি
Posted ১৪:০২ | শনিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain