শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও কালো ডিম পাড়লো সেই পাতিহাঁস!

  |   শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

আবারও কালো ডিম পাড়লো সেই পাতিহাঁস!

ভোলার চরফ্যাশনের আলোচিত সেই পাতিহাঁসটি আরও একটি কালো ডিম দিয়েছে। এ নিয়ে দুইটি কালো ডিম দিয়েছে সেই হাঁসটি।

 

বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় কালো ডিমটি পাড়ে সেই হাঁস। পর পর দুইদিন এমন ঘটনায় মানুষের মধ্যে কৌতূহলের যেন শেষ নেই।

 

পাতিহাঁসটি প্রথম বারের মতো গতকাল বুধবার থেকে কালো ডিম পাড়া শুরু করেছে।

 

চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাঢ়ীর বাড়ির বাসিন্দা আবদুল মতিনের (৪৮) খামারে একটি পাতিহাঁস গত দুইদিনে দু’টি কালো ডিম দিয়েছে। এ নিয়ে উপজেলার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লোকজন এখন ওই ডিম দেখতে আসছে।

 

আবদুল মতিন বলেন, তার খোয়ারের একটি পাতিহাঁস গতকাল বুধবার প্রথম একটি কালো ডিম পাড়ে। আজ বৃহস্পতিবারও আরেকটি কালো ডিম পেড়েছে হাঁসটি। প্রথম দিন পাড়া ডিমটি ছিল কুচকুচে কালো। আজ বৃহস্পতিবার পাড়া ডিমটির কোথাও কোথাও সাদাচে ছোপ ছোপ রয়েছে, তবে বেশির ভাগ অংশ কালো। এ ডিমসহ তিনি একটি আলাদা খাঁচার মধ্যে রেখেছেন হাঁসটিকে। লোকজন এসে দেখে যাচ্ছে।

 

এ ব্যাপারে সহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, হাঁসের ডিম সাধারণত সাদা রঙয়ের হয়। কিন্তু কালো ডিম দেওয়া খুব অস্বভাবিক কিছু না। প্রথমবার ডিম পাড়ার সময় এমন হতে পারে। এটা সচরাচরই হয়। পরে ঠিক হয়ে যায়।

 

হাঁসের মালিক আবদুল মতিন আরও বলেন, তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম ঘরে হাঁস-মুরগি পালন করে সংসারে বাড়তি আয় করতে সাত আট মাস আগে প্রতিবেশীর কাছ থেকে ২১টি ছোট হাঁসের বাচ্চা কিনে আনেন। বিভিন্ন রোগে ভুগে কয়েকটি মারা যাওয়ার পর ১১টি হাঁস আছে। দেশি হাঁসের কালো ডিম দেখতে বাড়িতে মানুষ ভিড় জমায়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন  পত্র পত্রিকার সাংবাদিকরা আসেন।

 

আবদুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, তার পালিত ১১টি দেশি হাঁসের মধ্যে ৮ মাস বয়সের একটি পাতিহাঁস গতকাল বুধবার প্রথম ডিম দেয়। তবে ডিমের রং একেবারে কালো দেখে প্রথমে তিনি চমকে যান। পরে ডিমটি বাড়ির অন্যদের দেখান। মুহূর্তের মধ্যে কালো ডিমের খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দেশি হাঁসের কালো ডিম দেখতে বাড়িতে মানুষ ভিড় জমায়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সাংবাদিক আসেন। আজকেও কালো ডিম পেড়েছে। তবে আগের দিনের থেকে একটু কম কালচে।

 

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল আজ দুপুরে মুঠোফোনে বলেন, তাদের কর্মকর্তা ওই খামারির বাড়িতে গেছেন। আজকের পাড়া ডিমটি গতকালের থেকে কম কালো। এক স্থানে নীলচে ছোপ। ঘষা দিলে এক বিন্দু কালো খোসা উঠে এসেছে। তারা হাঁস ও তার ডিম পাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এর বেশি এখন কিছু বলতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, জিংডিং জাতের একপ্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয়, কিন্তু কোনো হাঁস কালো ডিম পেড়েছে কখনো শোনেননি, দেখেননি।

 

তিনি আরও জানান, ভারতীয় ব্রিডের কাদারনাথ বা কালো মাসি জাতের মুরগি কালো ডিম পাড়ে, যার মাংসও কালো। হাঁস কালো ডিম পাড়ার নেপথ্যে জরায়ুর কোনো সমস্যা হতে পারে। সাধারণত হাঁসের জরায়ুতে ডিমের খোসাটি ১৯-২০ ঘণ্টা আটকে থাকে। এভাবেই হাঁসটি যদি কালো ডিম পাড়া অব্যাহত রাখে, তাহলে হাঁস ও ডিম পরীক্ষাগারে পাঠাবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৪:৪৫ | শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com