নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
চলমান আন্দোলনকে দমন করতে পুলিশকে ব্যবহার করে সরকার বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফের নাশকতা ও বিষ্ফোরকের গায়েবি মামলা দিচ্ছে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন অভিযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিদিন অসংখ্য নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি ও হয়রানি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। কোথাও বাধা দেওয়া হবে না বলা হলেও নির্বিচারে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। সভা এই ধরনের নিকৃষ্ট দমন নীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
স্থায়ী কমিটির সভায় অবিলম্বে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা বন্ধ করে, মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এছাড়া গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় উদ্ভুদ পরিস্থিতির সকল দায় অবৈধ সরকারকে বহন করতে হবে।
সভায় পূর্বঘোষিত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থান নির্বাচন নিয়ে সরকারের তৎপরতা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় পূর্বঘোষিত ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ নয়াপল্টনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করা হয়। সকল দূরভিসন্ধি, বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে রাজশাহী ও ঢাকায় গণ-সমাবেশকে সফল করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে অনিয়মের মাধ্যমে কয়েকটি কাগুজে কোম্পানিকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভা মনে করে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিকল্পিতভাবেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছে। অর্থনীতি চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।
সভায় সামগ্রিক আর্থিক খাত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরি করে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
Posted ১৬:১৫ | বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain