শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আগে আন্দোলন, পরে নির্বাচনের চিন্তা : গয়েশ্বর

  |   মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট

আগে আন্দোলন, পরে নির্বাচনের চিন্তা : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, চলমান শন্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনা যাবে না। তাঁর মুক্তির জন্য কঠোর আন্দোলন করতে হবে। আগে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারপর নির্বাচনের চিন্তা করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় গয়েশ্বর এসব কথা বলেন। ইলিয়াস আলী মুক্তি যুবসংগ্রাম পরিষদ ও ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নেত্রী যখন জেলে গেলেন, তখন কে কখন কীভাবে প্রতিবাদ করবেন, তাদের ব্যাপার। যিনি কারাগারের ভেতরে আছেন, তিনি বলে দেবেন কোথায় কীভাবে আন্দোলন করবেন? এই সরকারের আচরণ কেমন, তা কি আমরা কেউ বুঝি না? এই সরকারের বিরুদ্ধে কি চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বের করে আনা যাবে?’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা ঐক্য চাই। তবে সেই ঐক্য মান্নান ভূঁইয়ার মতো খালেদা জিয়াকে মাইনাসের ঐক্য চাই না। কারাগারে থাকাকালীন পত্রপিত্রকার মাধ্যমে যে আন্দোলন, আমাদের দলের যে অবস্থা দেখলাম তা হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি। তার মানে খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলেও আমরা নির্বাচনে যাব। আবার বলা হচ্ছে, আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। তাহলে কি নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার পর আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন?’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জনগণের কাছে মেসেজ যাচ্ছে বিএনপির কাছে নির্বাচনটা বড়। খালেদা জিয়ার মুক্তি বড় নয়। তাহলে সরকার কেন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে? তারা অপেক্ষায় আছে যেকোনো কায়দায় বিএনপিকে নির্বাচনে আনার। কারণ বিএনপিকে যদি যেকোনোভাবে নির্বাচনে নামানো যায়, তাহলে আগের নির্বাচন ও আগামী নির্বাচনের বৈধতা আদায় হয়ে যাবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর রায় আরো বলেন, ‘ইতিহাস বলে আন্দোলনে যারা শিরোপা পায়, তারাই নির্বাচনে জয় লাভ করে। আন্দোলনে জয় হলে নির্বাচনে জয়ের প্রেক্ষাপট এমনিতেই তৈরি হয়ে যায়। সব আসন পেলেই ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। তার জন্য আন্দোলন করতে হয়। তাহলে সেই আন্দোলন কি নির্বাচনের পরে করবেন নাকি আগে করবেন?’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। কিন্তু জনগণের আদালতে খালেদা জিয়া নির্দোষ। অতএব, তাঁর মুক্তির আন্দোলনের জন্য জনগণ প্রস্তুত। আগামীতে কৌশল হবে একটাই। তা হলো আন্দোলনে মাঠে নামা। আন্দোলন বাদ দিয়ে যদি আমরা হাসিনার অধীনে যদি নির্বাচনে যাই, তাহলে মানুষ বেইমান বলবে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘নিরামিষ খাওয়া ভালো। তবে সব বয়সীর জন্য ভালো নয়। আমাদের দাবি, একটা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার চাই। হাসিনা মার্কা কোনো সরকার চাই না। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার হলে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন। কারণ মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মোফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরীসহ যাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আছেন, তাঁরা যদি নির্বাচন করতে পারেন তাহলে খালেদা জিয়াও নির্বাচন করতে পারবেন।’

ইলিয়াস আলী মুক্তি যুবসংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সফু।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:১৪ | মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com