| সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে এবং সেই নির্বাচনে বিএনপিকে আসতে হবে। কিন্তু বিএনপি যদি নির্বাচনে না এসে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করে তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তা শক্ত হাতে দমন করবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।
সোমবার বিকালে রাজধানীর সোনারগাঁও রোডের ফিকামলি সেন্টারে শহীদ সেলিম-দেলোয়ার স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে হানিফ এসব কথা বলেন।
১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এরশাদবিরোধী গণআন্দোলন চলাকালে রাজধানীর গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল এলাকায় পুলিশের ট্রাক সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মিছিলের ওপর তুলে দেয়া হয়। এতে এইচএম ইব্রাহিম সেলিম ও কাজী দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। ওই সময় সেলিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ এবং দেলোয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেষ পর্বের ছাত্র ছিলেন।
হানিফ বলেন, ‘বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। মির্জা ফখরুল কোন নিরপেক্ষ নির্বাচন সরকার খুঁজছেন? আপনার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অতীতে বহুবার বলেছেন- বাংলাদেশে পাগল এবং শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। আপনারা কি সেই পাগল-শিশু খুঁজে বেড়াচ্ছেন?
নিরপেক্ষ সরকারের নাম দিয়ে যদি মনে করেন দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটবেন তাহলে ভুল করবেন। যদি চিন্তা করেন দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসবেন এটাও ভুল। আপনাদের এমন স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থাকবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার চক্রান্ত শুরু হয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমানের প্রথম লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা। সেই লক্ষ্যে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছিলেন এবং তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন জেনারেল এরশাদ।
তিনিও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছিলেন, যার পরিণতি ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যখন সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করছিল সেই মিছিলে ট্রাক চাপা দিয়ে আমাদের ছাত্রনেতাদের হত্যা করা হয়।
হানিফ বলেন, শেখ সেলিম এবং দেলোয়ার হত্যাকাণ্ড ছিল একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগকে খন্ড-বিখন্ড করা চেষ্টা করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি জানতেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি একমাত্র আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। তাই তিনি আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি আর নাহিয়ান খান জয়। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির।
Posted ১৬:২১ | সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain