রাজধানীতে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র অংশ নেয়া ছাড়া উপায় নাই। তাদের নির্বাচনে আসতেই হবে। আর না হলে দল হিসেবে বিএনপি’র অস্তিত্ব থাকবে না। বিএনপি’র মানববন্ধন কর্মসূচির দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা শান্তি সমাবেশ করে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই সমাবেশ হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ করে। সমাবেশে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরও খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে বাসায় থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। সরকার আদালতে প্রভাব বিস্তার করে না। আদালতের প্রতি সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। যদি হস্তক্ষেপ থাকতো তাহলে বিএনপি’র সব নেতারা জেলে থাকতেন।

তিনি বলেন, বিএনপি বিভিন্ন দাবি নিয়ে ৫৪টি দলের সঙ্গে মিলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আগের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি তিন মাসের জন্য এসে তিন-চার বছর ক্ষমতা দখল করে তবে তার দায় কে নেবে। তাহলে কেন এ দাবি করছে বিএনপি। দ্রব্যমূল্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বিএনপি। তারা উস্কানিমূলক কথা বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে। বিএনপি অহেতুক সরকারের বিরুদ্ধে বাক-সন্ত্রাস করে জনগণকে হয়রানি করছে। ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।