আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ঠুরতা বন্য হিংস্রতাকেও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় রিজভী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিভাবে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশে ধানের শীষের কর্মী সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নামতে দিচ্ছে না পুলিশ। আর আওয়ামী লীগকে নগ্নভাবে সহায়তা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রিজভী বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপির প্রার্থীসহ ২১৭১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে ১৮১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারী দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে ধানের শীষের প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা, এলাকা ছাড়ার হুমকি, হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আহত করা ও গ্রেফতারসহ নানামূখী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গতরাত ৩টায় ডিবি পুলিশ হানা দিলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ভাটারা থানাধীন ৪০ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিন বাসার ছাদে আত্মগোপন করে। এ সময় ডিবি পুলিশ তার ছেলেকে পেয়ে চরম নির্যাতন করে। ডিবি পুলিশ কফিল উদ্দিনকে খুঁজতে থাকলে একপর্যায়ে বাসার ছাদে পেয়ে যায় এবং মারতে মারতে ছাদ থেকে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।

রিজভী বলেন, পুলিশের এই বর্বর আচরণ ও নৃশংসতার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে জনগণের নিকট তাদের প্রতিটি অপকর্মের জবাব দিতেই হবে।

তিনি বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে সরকার এখন বিরোধী দলের প্রযুক্তি ব্যবহারের অধিকারকেও হরণ করছে। সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই বিএনপি’র নিজস্ব ওয়েবসাইটটি সরকার ব্লক করেছে।