| বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বর্তমানে নিউইয়র্কে মেমরিয়্যাল স্লোন ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সঙ্গে টেলিফোন আলাপে দেশে ফেরার আকুতির কথা জানান এই মুক্তিযোদ্ধা।
বিএনপির চেয়ারপাসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, কিডনির ক্যান্সারে আক্রান্ত সাদেক হোসেন খোকার স্বাস্থ্যের অবস্থা মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) থেকে অনেকটাই অবনতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিএনপির এ নেতা ম্যানহাটনে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে অনেক দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে আক্ষেপ করে সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। দেশের মাটিতে বিদায় হবে কিনা আল্লাহ জানেন। আমার জন্য দোয়া করো।
পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে জানিয়ে শায়রুল কবির খান বলেন, সাদেক হোসেন খোকার সুস্থতা কামনা করে বিএনপির নানা স্তরে দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হচ্ছে। তার পরিবার দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এক সময়কার বাম ঘরানার রাজনীতিবিদ বিএনপিতে যোগ দেন খোকা। বিএনপির বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠক অভিবক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে ছিলেন। ঢাকার মেয়র হয়ে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করেন। বিএনপির ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি একাধিকবার মন্ত্রিসভার সদস্যও হন।
২০১৪ সালের ১৪ মে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান সাদেক হোসেন খোকা। একাধিক মামলায় সাদেক হোসেন খোকার সাজা হয়েছে। এর পর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রেই আছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা আছে।
রাজধানীর বনানী সুপার মার্কেটের কার পার্কিংয়ের ইজারা দুর্নীতির মামলায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাসহ ৪ জনের ১০ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়। গত বছরের ২৮ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় খোকাসহ আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।পূর্বপশ্চিমবিডি
Posted ১৫:১৬ | বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain