| বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রজীবন থেকেই মঈন উদ্দিন খান বাদল ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রয়েছে তাঁর। সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ও শান্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদল এমপির মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মঈন উদ্দিন খান বাদল কথা বলতেন এলাকার উন্নয়নের জন্য। সব সময় তিনি সক্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে তার এলাকাবাসীর ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক চিন্তা চেতনায় তিনি যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যু আজকে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। মাত্র দুই দিন আগেই আমি তার খোঁজ নিয়েছি। তিনি অসুস্থ ছিলেন তার স্ত্রী সবসময় আমাকে মেসেজ পাঠাতেন, খবর জানাতেন। দুদিন আগেও আমি তার কাছ থেকে মেসেজ পাই। আজকে সকালে যখন খবরটা পেলাম এটা সত্যিই একটি বিরাট ধাক্কা লেগে গিয়েছিল। কারণ আমি ভাবতেই পারিনি আজকে এভাবেই মৃত্যুবরণ করবেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য তার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আমরা আর শুনতে পারবো না। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমি আমার সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, তার মরদেহ নিয়ে আসার জন্য এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের হাইকমিশনার থেকে একজন কর্মকর্তা সেখানে পাঠিয়েছি।
মরহুম মঈন উদ্দিন খান বাদলের ওপর আলোচনায় অংশ নেন- বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, মহিউদ্দীন খান আলমগীর, জাপা মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, আনিসুল ইসলাম মাহম্মুদ, শাজাহান খান, আ স ম ফিরোজ, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এর আগে তার সম্মানে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর পর মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত শেষে সংসদ সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
Posted ২২:১৬ | বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain