| শনিবার, ০৪ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আন্দোলনের অনুপ্রবেশকারীদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখছে গোয়েন্দা বাহিনী। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দমন না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ ধৈর্যধারণ করছে।’
শনিবার আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দলীয় সমর্থন দেয়া হয়েছে। এটাকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ারও চেষ্টা হয়েছে। আমাদের উদ্বেগ, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ইনোসেন্ট আন্দোলনে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটেছে।’
এ সময় তিনি রাজনৈতিক নেতাদের ছবি দেখান, যারা এই আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে দাবি করেন। বলেন, ‘এগুলো খুবই খারাপ লক্ষণ।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবির যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছি। প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্বাগত জানিয়েছি। এখন তাদের দাবিগুলো একে একে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শনিবার সকালে ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসের মালিক, চালক ও হেলপারকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার তার জরুরি কাজটি সেরে ফেলেছে। দুই পরিবারকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সান্ত্বনা ও সহায়তা দিয়েছেন, খোঁজ রাখছেন। ওই দুই পরিবারও শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি সরকার ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন শুরু করেছে। দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণে সেনাবাহিনী কাজ করছে। স্পিডব্রেকার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে রাম্বলস্ট্রিট করা হবে। ফিটনেসবিহীন সব গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করা হবে, ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে বিআরটিএ। গোপনীয়তার কিছু নেই, একে একে সব বাস্তবায়ন করা হবে।’
শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরতে আহ্বানকারীদের শুভবোধকে স্বাগত জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা কোমলমতিদের আন্দোলনে ঢুকে রাজনীতির বিষবাষ্প দিয়েছেন, ফায়দা লুটতে চেয়েছে, তাদের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।’
এ সময় শান্তির স্বার্থে শিক্ষার্থীদের ঘরে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরাতে অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
পদত্যাগ দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নই বরং বিএনপির মতো নালিশ পার্টির টপ টু বটম নেতারা পদত্যাগ করলে, দেশের মানুষ স্বস্তি পাবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা কাজ করছে। এজন্য তারা সড়কে গাড়ি নামাতে চাইছেন না। তবে আমরা তাদের নামানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসে, একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলা, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
Posted ১৩:৫৭ | শনিবার, ০৪ আগস্ট ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain