শনিবার ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে চলতে চাই : ১২ দলীয় জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট

সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে চলতে চাই : ১২ দলীয় জোট

দেশে কোনোভাবে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হোক সেটা চাই না বলে জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে আগামীদিনে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে পথ চলতে চাই।

আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ ভারতের আগ্রাসী বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক মাসের কার্যকলাপের মধ্যে সবচেয়ে প্রধান ভূমিকা হলো আমাদের দেশের পররাষ্ট্রনীতি তার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিত্যাগ করে স্বাধীন সার্বভৌম একটি পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং খুব ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ভারত আমাদের দেশের বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দিয়ে আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করেনি। ভারতকে আমরা আজও বন্ধু হিসেবে গণ্য করতে চাই। কিন্তু তাদের থেকে কোনো অবন্ধুসুলভ আচরণ সহ্য করতে পারি না। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এই কথাগুলো বলেছেন। সেই কারণে রাজনাথ সিং এত ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের চারদিকে আজ একটি অশান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচলে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ভারত যদি তার পরিস্থিতি পরিবর্তন না করে তাহলে আগামী ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কি নেমে আসবে সেটা আমরা জানি না। অরুণাচল প্রদেশে ইতোমধ্যে ৬০ কিলোমিটার ভেতরে আরেকটি রাষ্ট্রের সৈন্যবাহিনী ঢুকে গেছে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান বলেন, ভারতের উচিত হবে বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া। আমাদের সীমান্তের সমস্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করা।

 

সভাপতির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র এবং বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ভারতের এমন বক্তব্যে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। সরকারের উচিত এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করা। ভারত যদি আমাদের ওপর চোখ রাঙায় তাহলে সেই চোখ উপড়ে ফেলার ক্ষমতা আমাদের আছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুধু কোটার জন্য করা হয়নি, এটা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধের আন্দোলন ছিল।

 

এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন শামসুদ্দিন ফারভেজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:১৮ | মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com