স্থানীয়রা জানান, মুমিন সহ পরিবারের সকলে বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় ২৫ অক্টোবর গ্রামের জনৈক এক বৃদ্ধের বাড়িতে আশ্রয় নেন তরুণী কণিকা রাণী। অতঃপর ওভ তরুণী ২৭ অক্টোবর গ্রামবাসির সহযোগিতায় মুমিনের বাসার তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। এরই মধ্যে মুমিনের মা সহ তার ভাই ও ভাবি এসব জানতে পেয়ে বাসায় ফিরে আসেন। তারা আরো জানান, যেহেতু মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে তিন বছর কাটিয়েছে, তাই তাঁকে বিয়ে করতে হবে। নাহলে আমরা তাঁকে সামাজিক ভাবে বয়কট করবো।
এ বিষয়ে মুমিনের মা আছিয়া বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা সব মেনে নিয়েছি শুধু আমাদের ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা। তার সাথে যোগাযোগ হলে মেয়েটিকে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করিয়ে ইসলামী শরিয়ত মতো আমাদের ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিবো। মেয়েটি হিন্দু হওয়ায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তরুণী কণিকা রাণী সাংবাদিকদের জানান, মুঠোফোনে পরিচয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে আমাকে বিয়ের আশ্বাসে অবৈধ সম্পর্ক করে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে তিন বছর কাটিয়েছে। এখন বিয়ের জন্য চাপ দিলে আজ নয় কাল বলে আমাকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে। তাঁকে বিয়ে করতে হবে। এতো কিছুর পরে মুমিনের পরিবার আমাকে মেনে নিয়েছে শুধু মুমিনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা। মুমিন আমাকে যদি বিয়ে না করে তাহলে এখানেই আমি আত্মহত্যা করে আমার জীবন শেষ করে দিবো।
আবদুল মুমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মুঠোফোন টি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি এ ব্যপারে কোলা ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর ইসলাম স্বপন বলেন, আমার সাথে ছেলের পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করেছিল।আমি বলেছি বিয়ের ব্যবস্হা করতে। তার পর আর কথা হয়নি। বর্তমানে মেয়েটি ছেলের বাড়ি অবস্থান করছে। ছেলে পলাতক। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত মেয়েটি মুমিনের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সাথে অবস্থান করছিলেন।