রবিবার ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

বালিয়াঘাট সীমান্তের চোরাচালান ও চাঁদাবাজি দেখার কেউ নাই

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

বালিয়াঘাট সীমান্তের চোরাচালান ও চাঁদাবাজি দেখার কেউ নাই

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের বালিয়াঘাট সীমান্তে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালামের নেতৃত্বে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য চলছে জমজমাট। আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) ভোর প্রায় ৩০০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- গতকাল শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১টার পর জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম ও তার সহযোগীরা ১বস্তা (৫০ কেজি) চোরাই কয়লা থেকে দুই বিজিবি ক্যাম্পের নাম ভাংগিয়ে ২শ টাকা, থানা-পুলিশের নাম ভাংগিয়ে ১শ টাকা ও সাংবাদিকদের নামে ১শ টাকাসহ মোট ৪৫০টাকা করে চাঁদা নিয়ে লাকমা পশ্চিমপাড় ও লালঘাট এলাকা দিয়ে প্রায় ৩০০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে সীমান্তে বিভিন্ন বসতবাড়ির ভিতরে লুকিয়ে রাখে। পরে আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে পাচাঁরকৃত সেই অবৈধ কয়লার মধ্যে ১২০মেঃটন কয়লা ১২টি মাহিন্দ্র লড়িগাড়ি বোঝাই টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নীলাদ্রী লেকপাড়ে অবস্থিত একাধিক ডিপুতে নিয়ে ওপেন বিক্রি করে সোর্স ইয়াবা কালাম, মানিক মিয়া, কানা বাবুল ও তাদের গডফাদার। কিন্তু এব্যাপারে কেউ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইয়াবা কালাম ও তার বাহিনী, চোরাই কয়লার বস্তার ভিতরে করে পাচাঁর করছে নানান প্রকার মাদকদ্রব্য। তবে বালিয়াঘাট ক্যাম্পের সাবেক হাবিলদার শাজাহান, সোর্স কালামকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে মামলা দিয়েছিলেন।

এছাড়াও সোর্স কালাম ও কানা বাবুলসহ তার বাহিনীর অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে কয়লা, মাদক, হুন্ডি ও বিজিবির ওপর হামলার মামলা। তাদের গডফাদার চাঁদাবাজি জন্য ও ইয়াবাসহ একাধিক বার হয়েছে গণধৌলাইয়ের শিকার। গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) ভোর রাতে একই ভাবে প্রায় ১শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে সোর্স ইয়াবা কালাম। তার নেতৃত্বে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে গত রবিবার (১২ নভেম্বর) বালিয়াঘাট সীমান্তে অবস্থিত চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে কিশোর নুরুল হক (২০), গত ১৩ই অক্টোবর কিশোর সুমন মিয়া (১৭) ও ৫ই আগস্ট কিশোর আক্তার হোসেন (১৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তাই এব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগী জরুরী প্রয়োজন।

এব্যাপারে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা গ্রামের সোর্স পরিচয়ধারী হোসেন আলী বলেন- আমি একজন শ্রমিক হিসেবে বিজিবি সোর্স কালামের অধিনে কাজ করি। তার নির্দেশে ভারত থেকে পাচাঁরকৃত কয়লার বস্তার হিসাব রাখি। চাঁদা উত্তোলন করে কালাম মিয়া নিজেই। সোর্স ইয়াবা কালাম বলেন- লোক মারা যাওয়ার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। হোসেন আলী সব দেখাশুনা করে। বর্তমানে আমার নামে ১টা মামলা আছে।

এব্যাপারে জানতে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল ০১৭৬৯-৬১৩১২৭ নাম্বারে বারবার কল করার পরও কেউ ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি, তবে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের মোবাইল নাম্বারে কল করলে সিপাহী আজিজ ফোন রিসিভ করে বলেন- কোম্পানী কমান্ডার আনোয়ার হোসেন স্যার বাহিরে আছেন, কখন ক্যাম্পে আসবেন বলতে পারবনা। তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সোর্স কালামকে আমি চিনিনা, এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমাদের টেকেরঘাট ক্যাম্প ইনর্চাজকে বলে দিচ্ছি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৭:২০ | রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(825 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com