শনিবার ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাগলা মসজিদে চার ঘণ্টায় পাওয়া গেল ৬ কোটি টাকা, চলছে গণনা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট

পাগলা মসজিদে চার ঘণ্টায় পাওয়া গেল ৬ কোটি টাকা, চলছে গণনা

অনলাইন ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা। চার ঘণ্টা গণনা শেষে এখন পর্যন্ত ৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গণনা শেষে এ টাকা পাওয়া গেছে। রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি, কিশোরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুবেল মাহমুদসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে দানের সিন্দুকগুলো খোলা হয়। পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক থেকে এবার রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। পরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় টাকাগুলো গণনার কাজ শুরু হয়।

টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মাদরাসার ১৩৩ জন ছাত্র, ঐতিহ্যবাহী জামিয়া এমদাদিয়া মাদরাসার ১৫০ জন ছাত্রসহ ব্যাংকের ৮০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। এ ছাড়া মসজিদ কমিটির ১০ জন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

জানা গেছে, সিন্দুক খুললে প্রতিবারই কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায় এবং প্রতিবারই দানের অর্থ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগে সর্বশেষ ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়।

 

এর আগে একই বছরের ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়, যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল। এ ছাড়া দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।

 

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।

 

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, মসজিদের খোলা জায়গায় রোদ-বৃষ্টিতে নামাজ পড়তে অসুবিধা হয়। এ ছাড়া পাশে কিছু জায়গা আছে সেগুলো ক্রয় করে এখানে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স ও মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:৪২ | শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com