নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট
কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাকে কোরবানি দিতে হবে। এটি ওয়াজিব বিধান। আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন— ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাউসার: ২)
নিসাব পরিমাণ সম্পদ বলতে বোঝায় সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সব সম্পদ মিলে সাড়ে ৫২ ভরি রুপার সমমূল্যের হওয়া। এটাই হলো নিসাব। এই পরিমাণ সম্পদ কারো মালিকানায় কোরবানির দিনগুলোতে থাকলে, তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব। সরাসরি স্বর্ণ বা রুপা থাকা শর্ত নয়, বরং প্রয়োজনের অতিরিক্ত সমমূল্যের নগদ অর্থ বা বাড়ি বা ব্যবসায়িক পণ্য বা অন্যান্য আসবাবপত্র কোরবানির নিসাবের অন্তর্ভুক্ত। (তাবয়িনুল হাকায়িক, পৃষ্ঠা: ১০, খণ্ড: ৬)
পাওনা টাকা আদায় না করা সত্ত্বেও যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ কারো মালিকানায় থাকে, তাহলে তাকে কোরবানি করতে হবে। কিন্তু কোরবানির দিনগুলোর মধ্যে পাওনা টাকা আদায় না হলে এবং এ কারণে নিসাব পূর্ণ না হলে তাকে কোরবানি করতে হবে না।
এক্ষেত্রে ঋণ করে কোরবানি করতে হবে না। এমনকি কোরবানির দিনগুলো অতিক্রান্ত হওয়ার পর পাওনা আদায় হলে কোনো পশু কাজাস্বরূপ সদকা করাও আবশ্যক হবে না।
তবে যদি প্রবল ধারণা হয় যে, কোরবানির পশুর মূল্য পরিমাণ টাকা চাইলে ঋণগ্রহীতা ফেরত দেবে, তাহলে চেয়ে ওই টাকা গ্রহণ করে কোরবানি করা আবশ্যক হবে। কিন্তু না দিলে কোরবানি করা আবশ্যক হবে না।
(ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া: ১৭/৪৬৪; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩০৭; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৬)
Posted ০৮:৩৪ | শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain