
| শুক্রবার, ০৩ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
ভয়াবহ নিমতলী ট্র্যাজেডির আজ ১২ বছর। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীতে রাসায়নিক গুদাম থেকে সূত্রপাত হওয়া আগুনে পুড়ে মারা যান ১২৪ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক। পুড়ে যায় অনেক বাড়ি, দোকানপাট ও কারখানা। চোখের সামনে নিজের বাড়ি, আপনজনদের পুড়তে দেখেছেন অনেকে। আহতরা এখনো সেই দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন।
সেদিনের ভয়াবহ স্মৃতিচারণ করছিলেন মা ও ভাই হারানোর লাট মিয়া। তিনি বলেন, চোখের সামনেই রাসায়নিক থেকে আগুন কিভাবে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে তা দেখেছি। সেদিন বাইরে ছিলাম বলেই বেঁচে গেছি।
তিনি বলেন, দুঃসহ স্মৃতি আমাকে এখনও বহন করতে হচ্ছে। এলাকা থেকে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের গুদাম সরানোর নানা উদ্যোগ নিলেও এখনো তো সরানো হয়নি।
জানা গেছে, নিমতলী ট্র্যাজেডির পর রাসায়নিক গুদাম সরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। রাজধানী থেকে রাসায়নিকের প্রধান কারখানা সরিয়ে নিতে গঠন করা হয় দুটি কমিটিও। কিন্তু সেই কমিটিগুলো কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে জায়গা ঠিক করার সুপারিশসহ উচ্চমাত্রার বিপদজনক পাঁচ শতাধিক রাসায়নিকের তালিকা করে প্রতিবেদন জমা দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ে। তবে ১২ বছর পর পুরান ঢাকার মানুষের আতঙ্ক কাটেনি এখনও। রাসায়নিকের গুদামগুলো এখনো পুরোপুরি সরানো হয়নি।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাঈন উদ্দিন জানান, নতুন করে পুরান ঢাকায় প্রতিস্থাপন করে কাউকে কেমিক্যাল ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কেমিক্যালের দোকান বা গোডাউন সরানোর কাজ চলছে। তবে এজন্য প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও এগিয়ে আসতে হবে।
এদিকে সেদিনের স্মৃতি এখনো তাড়া করে বেড়ায় স্বজন হারানো ও স্থানীয়দের। ভয়াবহ স্মৃতিবিজড়িত সেই বাড়িটি এবং আশপাশের এলাকায় দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তারা। শুক্রবার (৩ জুন) সকাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, নিহত ও আহতদের স্বজনরা ফুল দিয়ে স্মৃতিচারণ করছেন।
Posted ১০:০২ | শুক্রবার, ০৩ জুন ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain