
| শুক্রবার, ০৩ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ : নওগাঁয় নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে কণা খাতুন নামের এক শিক্ষিকাকে আটক করেছে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুক্তারপাড়া গ্রামের দেওয়াপাড়া এলাকার এক বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত কণা খাতুন প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসানের স্ত্রী ও জেলার বদলগাছী উপজেলার রামশাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। সারা দেশের মতো শুক্রবার নওগাঁতে শেষ ধাপে অুনষ্ঠিত হলো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। নওগাঁ জেলা শহরের ২৫টি কেন্দ্রে ১৪ হাজার ২২৫ জন চাকরী প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
পুলিশ জানায়, প্রশ্নফাঁস চক্রের বিষয়টি জানতে পেরে চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী কণা খাতুনের ওপর কঠোরভাবে নজর রাখছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পরে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুক্তারপাড়া গ্রামের দেওয়াপাড়ার পিতার বাড়ি থেকে কণা খাতুনকে আটক করা হয়। এসময় চক্রের একজনকে আটক করা গেলেও অন্যদের আটক সম্ভব হয়নি।
নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বদরুদ্দৌজা বলেন, কণা খাতুনের বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে বিএমসি মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে চারজন, জনকল্যাণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন, সেন্ট্রাল গার্লস স্কুল কেন্দ্র থেকে একজন ও পিএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে আটক পরীক্ষার্থীদের একমাসে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আটককৃতরা হলেন, নওগাঁ শহরের নামাজগড় গাউসুল আজম কামিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী জেলার বদলগাছী উপজেলার কমলপুর গ্রামের. আবু তালেবের মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা (২৯), মহাদেবপুর উপজেলার গাজুয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে শাপলা বানু (২৫), পিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী বদলগাছী উপজেলার গাবনা গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে আসলাম হোসেন (৩০) একই উপজেলার পশ্চিম বালুভরা গ্রামের আল আমিন (৩০), বদলগাছী উপজেলার রুকনপুর গ্রামের আবু সালেকের ছেলে জুবায়ের হোসেন (৩০), মান্দা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আব্দুস ছালামের মেয়ে লিমা আক্তার(২২), আত্রাই উপজেলার বান্দাইখাড়া গ্রামের শামসুর রহমানের মেয়ে সাফিয়া খাতুন(২৯), মহাদেবপুর উপজেলার বাগডোব গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে জুলেখা খাতুন (২৮)। এছাড়া আরও ৪ পরীক্ষার্থীকে সাজা দেওয়া হয়। আর ২ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২শ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
নওগাঁর ডিসি খালিদ মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো এই পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বন করার অভিযোগে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাদেরকে পরীক্ষা কেন্দ্র হতে বহিষ্কার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ১ মাসের বিনাশ্রম দন্ড প্রদান করা হয় ও প্রশ্নফাঁস চক্রের মূল হোতাদের একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Posted ১৬:১৩ | শুক্রবার, ০৩ জুন ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin