
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
সরকারের নির্দেশেই নির্বাচন কমিশন সংলাপের নামে তামাশা করতে চিঠি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘এটা (ইসির চিঠি) কিসের সংলাপ? কার জন্য সংলাপ। দলের শীর্ষ নেতাদের বন্দি করে, বাড়িছাড়া করে, ঘরছাড়া করে- ওরা কীসের সংলাপ করতে চায়। এটা মানুষকে লোক দেখানোর জন্য তামাশা করছেন… পার্টি অফিসে কাছে একজন স্টাফ (নির্বাচন কমিশনের) চিঠি নিয়ে এসেছেন। কার কাছে চিঠি দেবেন? দলের মহাসচিব (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) কারাগারে, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা আজকে বাসাছাড়া, ঘরছাড়া, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনারা নেতৃবৃন্দ শারীরিকভাবে নাজেহাল করছেন। আর বিএনপিকে পাঠাচ্ছেন চিঠি।
বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে এই তামাশাগুলো করা হচ্ছে, উপহাসগুলো করা হচ্ছে, ঠাট্টা-ইয়ার্কি করা হচ্ছে, সংলাপের নামে নির্বাচন কমিশন। আমরা জানি এই নির্বাচন কমিশন কি করবে? কিন্তু তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে যে তালিকা আসবে, সেই তালিকা অনুযায়ী উনি বিজয়ী বলে ঘোষণা করবেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এটা ছাড়া উনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) কিছুই করতে পারবেন না। এখন উনি সংলাপের নামে তামাশা করার জন্য চিঠি দেন।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসির চিঠি নিয়ে আসেন নির্বাচন কমিশনের অফিস সহকারী মো. মহসিন। আগামী ৪ নভেম্বর ইসির আলোচনায় অংশ নিতে এই চিঠি দেওয়া হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। কিন্তু বিএনপির নয়াপল্টনের কার্যালয় ২৮ অক্টোবর রাত থেকে পুলিশ তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়।
এ নিয়ে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘দলীয় কার্যালয় আজ ৪/৫ দিন জনশূন্য। সেখানে কোনো স্টাফ যেতে পারছেন না। প্রত্যেকে আতঙ্কের মধ্যে, শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন এবং পার্টি অফিসের সামনে ক্রাইম সিন বলে মাইক্রো রাখা হয়েছিল, সেটাও আমরা দেখেছি। এসবের মধ্যদিয়ে সরকার চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে, চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন যে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। কিন্তু আমি প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে এটুকু শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমি পুরনো কথা বাদ দিলাম, আজ থেকে ১০ বছর আগে একটি মারলে ১০টি মারতে হবে… এসব কথাও না বললাম… সম্প্রতি যে কথাগুলো বলেছেন, ওইটা কি সন্ত্রাসী ছাড়া কেউ বলতে পারে না। ওরা যদি হাত দেয় সেই হাত ভেঙে দেব…এটা কার কথা, হাত পুড়িয়ে দিতে হবে- এগুলো কোনো ভদ্রলোক বলতে পারে না।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই সরকার সেটা আগেই বলেছেন, আমাদের সমাবেশের আগে বলেছেন এবং তার প্রতিটি প্রমাণ আমরা হাতেনাতে পাচ্ছি। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, দিন নাই রাত নাই বাড়িতে রেড দিয়ে যাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্য যাচ্ছে তাকে না পেয়ে তার বাবাকে, বড় ভাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। অর্থাৎ গ্রেফতারের ভয়ংকর হিড়িক শুরু করা হয়েছে সারা বাংলাদেশে এবং রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে জাতীয় নেতাদের।
Posted ১৬:৫৫ | বৃহস্পতিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain