নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত সাত অক্টোবর থেকে বর্বরোচিত হামলা-গণহত্যা চালানোর পাশাপাশি খাদ্য ও জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে অবরোধ দিয়ে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। এতে করে উপত্যকাটিতে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। খাদ্য সংকটে প্রতিনিয়ত মৃত্যু হচ্ছে মানুষের। গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও চলমান সামরিক অভিযানে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুতে ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করে দুটি নতুন ব্যবস্থা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। উপত্যকাটিতে দুর্ভিক্ষ রোধে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আইসিজে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইসিজের বিচারকেরা সর্বসম্মতিক্রমে এ নির্দেশ দেন।
আইসিজে বলেছেন, গাজার ফিলিস্তিনি নাগরিকরা সেখানে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। উপত্যকাটি জুড়ে চরম দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়ছে। আদেশে বিচারকেরা বলেছেন, ‘আদালতের পর্যবেক্ষণ হলো— গাজার ফিলিস্তিনিরা আর দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতেই কেবল নেই, বরং ইতিমধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।‘
আইসিজের আদেশে নতুন করে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার, পানি ও বিদ্যুতের পাশাপাশি চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মৌলিক পরিষেবার নিরবচ্ছিন্ন ব্যবস্থা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া বৃহস্পতিবারের আদেশে আদালত জানুয়ারির পদক্ষেপের বিষয়গুলো আবারও উল্লেখ করেন।
আইসিজের বিচারকেরা আরো বলেছেন, সীমান্ত ক্রসিংয়ের সংখ্যা ও সক্ষমতা বাড়ানো এবং সেগুলো সবসময় খোলা রাখার মাধ্যমে দুর্ভিক্ষ নিরসনে কাজ করা যেতে পারে। এছাড়া আদেশ বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত জানিয়ে ইসরায়েলকে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ইসরায়েল গাজায় রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে অভিযোগ করে আইসিজেতে মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই মামলার অধীনে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল দেশটি।
সূত্র: আল-জাজিরা
Posted ০৭:১৬ | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain