নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, সংলাপের কথা অনেকে বলছে। কার সঙ্গে সংলাপ? খুনিদের সঙ্গে কীসের সংলাপ? খুনিদের সঙ্গে আমরা কেন সংলাপ করব? যারা শেখ হাসিনার পিতা, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে, তাদের সঙ্গে আবার কিসের সংলাপ? যারা ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্ট করে ক্ষ্যান্ত হয়নি, এখনো আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে কোন যুক্তিতে ওইসব সমাজের বিবেকরা আমাদের সংলাপ করতে বলে?
শনিবার (১৮ নভেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে আওয়ামী যুবলীগের ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪’ করণীয় শীর্ষক কার্যনির্বাহী সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, প্রথমে আমি সাধুবাদ জানাই নির্বাচন কমিশনকে, আগামী জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার জন্য। আমি মনে করি এই ঘোষণা শুধু একটি সঠিক সিদ্ধান্ত না, একটি সাহসী সিদ্ধান্তও বটে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছে বলে তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যুবসমাজ খুব দৃঢ়তার সঙ্গে অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রও যুবসমাজ প্রতিহত করেছে। একইসঙ্গে আমি সব গণতন্ত্রকামী মানুষকে অভিনন্দন জানাই নির্বাচনমুখী হওয়ার জন্য। প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের কাম্য। শেখ হাসিনার যুবলীগের কর্মীরা প্রতিযোগিতা ভয় পায় না, শর্টকাট ক্ষমতার পথ শেখ হাসিনা খোঁজেনি কোনোদিন। একটা প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই শেখ হাসিনা আবারো রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি না এক-দফার দাবি দিয়েছিল? কোথায় গেল তাদের এক দফা? তাছাড়া আমরা মনে করি বিএনপি একটি অবৈধ সংগঠন এবং একটা সন্ত্রাসী সংগঠন যারা মানুষ হত্যা, ক্যু ইত্যাদির রাজনীতি করে। সে কারণে আমরা বিএনপির নিবন্ধন বাতিল করার দাবি করে আসছি। বিএনপির সৃষ্টি প্রক্রিয়া ও পন্থা দুটোই অবৈধ ছিল। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে সেই হত্যা-ক্যুর মাধ্যমে মিলিটারি অ্যাক্ট ভঙ্গ করে বিএনপি সংগঠন করেছিলেন। তাই বাংলার যুবসমাজ বিএনপির নিবন্ধন বাতিল করে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, ন্যায়সংগত এবং যৌক্তিক দাবি।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী প্রমুখ।
Posted ১৫:৫১ | শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain