নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
গাজীপুরের কালীগঞ্জে এস এম ইমদাদুল হক আকলু (৬০) নামে এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত এস এম ইমদাদুল হক আকলু মোক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি মোক্তারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
বিএনপি নেতাদের দাবি, ইমদাদুল হককে আওয়ামী লীগের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে।
মোক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক নয়ন বাগমার জানান, এস এম ইমদাদুল হক শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লোকজনসহ চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোক্তারপুর ইউনিয়নের নাসু মার্কেট এলাকায় যান। তিনি সেখানে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই আওয়ামী লীগের লোকজন দলবল নিয়ে এসে লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা করে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারণে এই হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল ও থানায় ছুটে যান।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন জানান, এসময় নিহতের সঙ্গে থাকা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের ৬/৭ জন নেতা আহত হয়েছে। আহতরা কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে মুক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা রুজু হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় মোক্তারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শরীফুল ইসলাম তোরণের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাড়িতে এবং নাসু মার্কেট এলাকায় তার ইটের ভাটার অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ছাড়া রাথুরা গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সবুরের বাড়িতেও হামলা এবং ভাঙচুর করা হয়।
Posted ০৮:০৮ | শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain