নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
ফাইল ফটো
ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হওয়ার পর মোহাম্মদ এ আরাফাতের বিজয় চিহ্ন দেখানোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এক-দুই শতাংশ ভোট পড়েছে দাবি করে এত অল্প ভোটে বিজয়ী হওয়ার পরও ‘ভি’ চিহ্ন দেখানোকে একজন শিক্ষিত মানুষের রুচির বিকৃতি বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন পার্কে পদযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত এই পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে রাজশাহী মহানগর বিএনপি।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিনু।
ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন, সেটা তো মুখ্য বিষয় নয়। আমরা বলতেও চাই না। লজ্জা লাগল একটা ঘটনায়। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরাফাত নাকি একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। কত বড় কাপুরুষ হতে পারে! সরকারিভাবেই বলছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভোট, পাবলিক দেখেছে এক-দুই শতাংশও হবে না। সেই আরাফাত আবার ভি চিহ্ন দেখায়। রুচি কতটা বিকৃত হলে এই কাজ করতে পারে।’
হিরো আলমের ওপর হামলার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আরাফাতের সন্ত্রাসীরা কী করল? আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হিরো আলমরা ছাড়া কেউ প্রার্থী হয় না। তারপরও তাকে (হিরো আলম) সন্ত্রাসীরা যেভাবে মারধর করেছে সেটাতে আরাফাতের মতো শিক্ষিত অধ্যাপকের রুচি বিকৃতি দেখে অবাক লাগে।’
রিজভী বলেন, ‘অনেক অন্যায়, উৎপীড়ন, গুম, খুন হয়েছে। অনেক সাথী যারা আমার সাথে মিছিল করত, মিটিং করত, তারা আজকে নাই, নিরুদ্দেশ। এই অনাচারের প্রধান নায়ক শেখ হাসিনা।’
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, ‘সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি ক্রমাগত মিথ্যা বলতে কোনো কার্পণ্য করেন না। তার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তিনি হয় রাতের ভোট না হলে একতরফা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।’
এসময় রাজশাহী জেলা বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাকে কারাগারে আটক রাখার সমালোচনা করেন রাকসুর সাবেক এই ভিপি।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে পদযাত্রায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাসিকের সাবেক মেয়র, দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম মার্শাল, সদস্য সচিব বাবু বিশ্বনাথ সরকার।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ সঞ্চালনায় পদযাত্রায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পদযাত্রাটি নগরীর ভুবনমোহন পার্ক থেকে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দিয়ে বাটার মোড় ও নিউ মার্কেট হয়ে শহীদ কামারুজ্জামান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
Posted ১৭:১৭ | মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain